সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জশাহীতে এক বিকাশ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে পুলিশের পরামর্শে ওই প্রতারককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা উদ্ধার করেন।
রোববার বিকেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ফরিদপুর থেকে রাজশাহী যায় ওই প্রতারক। পরে এক সহযোগীসহ তাকে আটক করে রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশ।
আটকরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার জাঙ্গালপাশা মধ্যপাড়ার আবদুল খানের ছেলে হাসান খান, জাঙ্গালপাশা পূর্বপাড়ার নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মাহমুদ হাসান ওরফে বায়েজিদ।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বলছে- এরা পেশাদার প্রতারক। মোবাইলে কল দিয়ে তারা কৌশলে বিকাশের পিন নম্বর হাতিয়ে নেয়। এরপর ওই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় সংখ্যার পিন দিয়ে সরিয়ে ফেলে বিকাশের টাকা। মহানগর ডিবি পুলিশের ডিসি আবু আহাম্মদ আল মামুন সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মোবাইলে ১৬ নভেম্বর অচেনা একটি নম্বর থেকে কল আসে। ওই ব্যক্তি ছিল বিকাশ প্রতারক হাসান। তবে সে নিজেকে ওই শিক্ষার্থীর কলেজের শিক্ষক পরিচয় দেয়। সে বলে, করোনাকালে বিকাশের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। কিন্তু যে নম্বরে বৃত্তি পাঠানো হবে সেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে অন্তত ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। তাহলেই এই নম্বরে সরকার টাকা পাঠাবে। প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। আর তার অ্যাকাউন্টে আগে থেকেই কিছু টাকা ছিল। টাকা ঢোকানোর পর প্রতারক হাসান কৌশলে তার পিন নম্বরটি জেনে নেয়। এরপর সে ওই ছাত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫১ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়। পরে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে ডিবি পুলিশের সাহায্য চান ওই ছাত্রী।
তিনি আরো জানান, সবকিছু শোনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রতারকের সঙ্গে অপরিচিত নম্বর থেকে কথা বলে প্রেমের অভিনয় করার পরামর্শ দেয়া হয়। কয়েকদিনের কথাবার্তায় তার প্রেমে পড়ে যায় প্রতারক। ১২ দিন তার সঙ্গে প্রেম-প্রেম খেলা চালিয়ে যায় ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে প্রতারককে দেখা করার জন্য ডাকেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। রোববার এক সহযোগীকে নিয়ে ফরিদপুর থেকে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে আসে বিকাশ প্রতারক হাসান। ওই সময় তাদের ধরে ফেলে ডিবি পুলিশ। আটকের সময় দুইজনের কাছে ৭৬ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
ডিসি মামুন জানান, আটক দুই বিকাশ প্রতারকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। ওই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd