ছাতক রেলওয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০

ছাতক রেলওয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতক রেলওয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাতক বাজার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রধান সহকারী, ভারপ্রাপ্ত উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত এক মোটর ড্রাইভারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বৃস্পতিবার তদন্ত কমিটিতে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিবকে আহবায়ক, রেল ভবনের পরিচালক (পরিবহন) ও উপ-পরিচালক (ভু-সম্পত্তি) কে কমিটিতে রাখা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ওই তদন্ত কমিটি শিগ্রই সরজমিনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা গেছে।

ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে রেলওয়ের প্রধান সহাকারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের গত অক্টোবর মাসে রেল কলোনীর জনৈক ব্যক্তির লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত করেন।

রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলী পূর্ব (সিআরবি) চট্রগ্রামে পাঠানো লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়, নির্বাহী প্রকৌশলী ছাতক বাজার শাখার প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকায়স্থ, ভারপ্রাপ্ত উর্ধতণ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুর ও তার ছেলে ভারপ্রাপ্ত মোটর ড্রাইভার মাহবুবুর আলম ব্যাপক লুটপাট ও অনিয়ম-দূর্নীতির করে রাতারাতি কোটিপতি বনেছেন। পিতা-পূত্র একই দপ্তরে থেকে ছাতক রেল শাখাকে জিম্মি করে রেখেছে। মোটর ড্রাইভার মাহবুবুর আলমের নামে রয়েছে মেসার্স মাহবুব এন্টার প্রাইজ ও সিদ্দিক এন্টার প্রাইজ নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্টান। তার পিতা আব্দুল নুর দোয়ারা বাজার উপজেলার উষাইর গাঁও নামের গ্রামে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিলাস ভবন বাড়ী নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় ছাতক বাজার বিআর দপ্তর পুরো নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকায়স্থ। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে কর্মচারীদের অবসরকালীন চুড়ান্ত করন বিলের নিস্পত্তির জন্য ৪০/৫০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন। লোকবল সংকটের কারনে ১০জন টিএলআর নিয়োগ দেয়ার আদেশ হলে ও সুরঞ্জন পুরকায়স্থ ও আব্দুল নুর গত আগষ্ট মাস থেকে ৫ জনকে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দিয়ে প্রতি মাসে ৭০/৮০ হাজার টাকা আত্বসাতের পাশাপাশি ভুয়া বিল তৈরী করেও টাকা আত্বসাতের করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে ভারপ্রাপ্ত উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুরসহ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারী এলাকায় বালু-পাথর বিক্রি, রেলওয়ের বাসা-বাড়ি ও নদী সংলগ্ন এলাকা ভাড়া দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্বসাতের করার অভিযোগ আনা হয়। একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, এর আগেই রেলওয়ে বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতির বিষয়ে একাধিক কমিটি গঠন করা হলেও স্থানীয় দূর্ণীতিবাজরা সব কিছুই কৌশলে ম্যানেজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক রেলপথ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-৪) মীর আলমগীর হোসেন বলেন এ বিষয়ে এ কমিটি আলোচনায় বসবে এবং তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে শীগ্রই।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..