ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানাধীন বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়ার্টার্সের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ টিচার্স কোয়ার্টার্সে ডেকে নিয়ে বিটিআরআই স্কুলের (১৪ বছর) বয়সের নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। ওই প্রধান শিক্ষক শমসেরনগর কমলগঞ্জ থানার মৃত শামসুদ্দিন আহমেদের পুত্র বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্র জানায়, সে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। তার (১৪ বছর) বয়স। সে লেখালেখির প্রতি খুব আগ্রহী থাকায় এই বয়সে সে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে। গত (১ ডিসেম্বর) রোজ মঙ্গলবার বিটিআরআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ তার লেখা দেখার জন্য তাকে ফোন দিয়ে বিটিআরআই স্কুলের টিচার্স কোয়ার্টার্সে যেতে বলে।সেই সুবাদে অনুমান ২:৪০ ঘটিকার সময় টিচার্স কোয়ার্টার্সে সে হাজির হইলে প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ তাকে পরীক্ষায় পাশ করানোর লোভসহ বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক বলাৎকার করার চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে দৌড়ে বাহিরে এসে তার সম্পর্কের এক চাচা কে দেখতে পায় ও পুরো ঘটনা উনাকে খুলে বলে।
পরবর্তীতে, তার ওই চাচা তার বাবা কে ৩:৩০ ঘটিকায় ফোন দিয়ে জানান যে, বিটিআরআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ উনার ছেলেকে বলাৎকার করার চেষ্টা করিয়াছে। ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা জানান, ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উনার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন বিটিআরআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ তাকে ডেকে নিয়ে দুপুর অনুমান ৩:০০ ঘটিকার সময় তাকে পরীক্ষায় পাশ করানোর লোভসহ বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক বলাৎকার করার চেষ্টা করে। উক্ত বিষয়টি স্থানীয় জনগণ জানতে পেরে বিটিআরআই ক্যাম্পাস চারদিক হইতে ঘেরাও করে রাখে। পরবর্তীতে, শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ কে স্থানীয় জনগণের সামনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে বলাৎকার করার চেষ্টা করেছে তবে বলাৎকার করতে পারেনি।এছাড়াও বিটিআরআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তল্লাশি করে এরকম আরো অনেক স্কুল ছাত্র-ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য রেকর্ড সহ একাধিক মেয়ের সাথে আলাপের নমুনা পায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ কে বিটিআরআই স্কুলের স্কুল পরিচালনা কমিটি সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে।
তবে প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ কে গত ২০০৭ সালে রাজনগর পোর্টায়াস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ হইতে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে, শ্রীমঙ্গল থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে উনার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার বর্তমান পরিদর্শক (তদন্ত)’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন মামলা নেওয়ার মতো বিষয় হলে উনারা অবশ্যই মামলা নিবেন।
তবে, এমন চঞ্চলকর একটি বিষয় আজ প্রায় (৫ দিন) অতিক্রম হলো কিন্তু শ্রীমঙ্গল থানায় এখন মামলা আমলে নেওয়া হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। তাই ভুক্তভোগী ছাত্র ও তার পরিবার সহ সচেতন মহল উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।