সিলেটে দ্বীপ হত্যা : নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

সিলেটে দ্বীপ হত্যা : নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের টিলাগড়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধে ছাত্রলীগকর্মী অভিষেক দে দ্বীপ হত্যাকাণ্ডে মামলার এজহারনামীয় চার জনসহ নয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ (রহ.) থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ।

তিনি বলেন, আলোচিত এই হত্যা মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত, রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে গত ২২ নভেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- টিলাগড় এলাকার গোপলটিলার ২নং রোডের সল্টু রায়ের ছেলে সমুদ্র রায় সৈকত, একই রোডের ৬২/এ বাসার সজল দের ছেলে সৌরভ দে (২১), একই এলাকার রতন দেবের ছেলে পূজন দেব (২৯), শংকর দের ছেলে সাগর দে (২১), সঞ্জয় দে (২৩), শাপলাবাগ সি ব্লকের ২নং রোডের ১৪নং বাসার আক্তারুজ্জামানের ছেলে জুবায়ের হাসান রিমেল (২৩), একই রোডের ৭৬নং বাসার মর্তুজা হোসেনের ছেলে আদনান আহমেদ (২৪), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে শাহরিয়ার কবির ভৌমিক (২৫) ও গোপালটিলা এলাকার সজল দে’র ছেলে সজিব দে (২৩)।

চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, টিলাগড়ের গোপালটিলা এলাকার সার্বজনীন পূজা মন্দির ও নুতনপাড়া ঐক্যথান যুব সংঘ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথকভাবে সরস্বতি পূজার আয়োজন করে। নিহত দ্বীপ গোপলটিলা এলাকার সার্বজনীন পূজা কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মামলার প্রধান আসামি সৈকত রায় নুতনপাড়া ঐক্যথান যুব সংঘের সঙ্গে পূজায় অংশ নেন। পূজায় পৃথকভাবে শোভাযাত্রা র্যালি বের করা হয়। ফেরার পথে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এদিকে, মামলার অপর আসামি পূজন কলেজ ভর্তি হওয়ার পর দ্বীপকে সম্মান করতেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি টিলাগড় এলাকায় আজাদ কাপ খেলা দেখতে যান দ্বীপসহ তার বন্ধুরা, এমন খবর পেয়ে টিলাগড় এলাকাস্থ ভুট্টু রেস্টুরেন্টে সামনে অবস্থান নেন মামলার আসামিরা। আসামি পূজনকে পাঠানো হয় দ্বীপকে ডেকে আনার জন্য। দ্বীপ আসার সঙ্গে সঙ্গে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় সৌরভ ও সাগর দ্বীপকে ধরে রাখলে অন্যরা তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে সৈকত দ্বীপের গলার বাম পাশে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন।

হত্যার ঘটনার দু’দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বীপের বাবা দিপক দে বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..