সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: কবি ও ছড়াকার আবদুল বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন দায়ী বলে দাবি করেছে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, নগর উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা এবং নিহত কবির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সম্মুখে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, কবি আব্দুল বাসিতের মৃত্যু নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, এই মৃত্যুর জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন দায়ী। সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত এবং অনিরাপদ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেরে জন্যই একজন নিরীহ শিক্ষক ও কবির মৃত্যু হয়। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বক্তারা বলেন, নগর উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করার নামে সিলেট মহানগরে একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হয়েছে। দিনের পর দিন ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে। ভাঙা-গড়ার শত কোটি টাকার কর্মযজ্ঞে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দূরে থাক, সামান্য লাল কাপড়ের নিশানা পর্যন্ত থাকে না। সিলেট সিটি করপোরেশনের এই অব্যবস্থাপনার মাশুল দিতে হয়েছে একজন কবিকে।
তারা আরও বলেন, এই নগরের উন্নয়ন কর্মের গর্তে পড়ে গত ৯ ডিসেম্বর নগরের আম্বরখানা এলাকায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন কবি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল বাসিত মোহাম্মদ। পরদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুতে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ ব্যথিত হয়েছে। আমরা ব্যথিত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছি।
কবি আব্দুল বাসিতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ এহিয়া আহমেদ বলেন, আমার পরিবারের মতো এই নগরের অপরিকল্পিত উন্নয়নে আর কেউ যেন প্রিয়জনকে না হারান সেই দাবি জানাই।
মূল বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, দুর্ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হতে চললো। সিলেট সিটি করপোরেশন থেকে অদ্যাবধি এই দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করে কবির পরিবারকে আনুষ্ঠানিক সমবেদনা প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত কবিকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানে সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতার কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। আর এমন হওয়ার কারণ নাগরিকদের নীরবতা।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আল-আজাদের সভাপতিত্বে ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রীর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য রাখেন সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম। নাগরিকববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত কবির ছোট ভাই মোহাম্মদ এহিয়া আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির, ভাষা শহীদ মতিন উদ্দিন চৌধুরী জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক ডা. মোস্তাফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বিধান সরকার, দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক দেবাশীষ দেবু, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভানিটির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, সিলেট মহানগর জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, লেখক ও আইনজীবী আব্দুল মুকিত অপি, প্রকাশক রাজিব চৌধুরী, সাংস্কৃতিক কর্মী রাজিব রাসেল, অদিতি দাস, রুবেল মিয়া প্রমুখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd