সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের পাশ থেকে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামে সরকারি ও মালিকানা ফসলি
জমি ও নদী থেকে নিষিদ্ধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও থেমে নেই বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা। একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরি নির্মাণের জন্য অবৈধভাবে কৃষিজমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে কোম্পানির জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।
কৃষিজমি থেকে মাটিকাটা ও নদি থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসি ল্যান্ড ও থানা সহ প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও তারা অনুমতি না নিয়ে কার অদৃশ্য শক্তিতে এ ধরনের অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে।
তাদের এই অবৈধ কাজে বাধা প্রদান করলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আবার অনেকে জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিবাদ না করে, সহ্য করে যাচ্ছে এসব অনিয়ম।
অভিযোগ উঠেছে, কবির আহমদ, জমির মিয়া, আব্দুর রউফ, ওহি আহমদ, মাহবুব আহমদ ও জুয়েল আহমদের নেতৃত্বে কার্পেট ফ্যাক্টরীর নাম করে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দিনে-রাতে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক গ্রামবাসী বলেন, আশপাশের ফসলি জমি ও নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে কার্পেট ফ্যাক্টরীর নামে জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি এবং বিদ্যুতের লাইনের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের খুটিগুলো। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অবাধে মাটি কাটার ফলে তৈরি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। এই গর্তের মাটি ধ্বসের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসী আরো জানান, সরকারের অনুমতি নিয়ে ড্রেজার মেশিন, এক্সকেভেটর দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও কোন ধরনের অনুমতির তোয়াক্কা না করে নদী থেকে অভাধে মাটি উত্তোলন, ফসলি জমি নষ্ট করা, বিদ্যুতের মেইন লাইনের আশপাশে কাজ করছে কথিত এই ব্যাক্তিরা। এলাকাবাসী বলেন, তাদের এহেন কর্মকান্ড যদি এখনি থামানো না যায়, তাহলে যে কোন ধরনের রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটনার সম্ভবনা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
মাটি উত্তোলনকারী করির আহমদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিব করেননি। যার ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে এম নজরুল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। কেউ অবৈধভাবে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জের এসিল্যান্ড এরশাদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি অনুমোদন ছাড়া কৃষিজমি থেকে মাটিকাটা ও নদী থেকে মাটি উত্তোলন বেআইনি। যারা অবৈধভাবে মাটি কাটছে ও বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd