সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট মহানগরের ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হেলাল আহমদ। স্থানীয় ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদলের কয়েকজন নেতাকমী কর্তৃক বারবার হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। ফলে কোতয়ালী থানা করেছেন সাধারণ ডায়েরি আর এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।
তবে সেই ডায়েরি আর অভিযোক্তদের রক্ষা উঠে পড়ে লেগেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের দুই নেতা। অপরদিকে জীবনবাজি রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেও নিজ এবং পরিবার-পরিজনের নিরাপত্ত্বা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে এবার সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যেমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গত ২২/১১/২০২০ ইং তারিখে। যাহার স্বারক নং-৯০ (২২/১২/২০২০) ইং।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যেমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের ভাতালিয়া ৬৭ নং বাসার বাসিন্ধা বিএনপির সমর্থক গোলাম কবির ছেলে ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামরান হাসান রাজিব (লন্ডন সিটি যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক) সাহাদাৎ হাসান রাকিব, নাইম হাসান বরিনসহ সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র হেলাল আহমদ, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে নানা রকম অপপ্রচার চালায়। স্থানীয় প্রতিকার চেয়ে তিনি সাধারন ডায়েরি ও অভিযোগ করেন। অভিযোগটি সঠিক তদন্তে বাধা হয়ে দাড়ান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক ও ১১ নং ওয়ার্ড সভাপতি সালাউদ্দিন বক্স সালাই। এই দুই নেতা থানা পুলিশসহ স্থানীয় ভাবে তারা বিএনপির এসব নেতাকর্মীকে শেল্টা দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। বিষয়টি তিনি মৌখিক ভাবে তিনি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে অবহিত করলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।
তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন থেকে হেলাল আহমদ ও প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে সুস্যাল মিডিয়ায়। লন্ডনে অবস্থান করে এসব পোষ্ট করেন কামরান হাসান রাজিব। আর তার ভাইয়েরা সেই সব পোষ্টগুলো শেয়ার-ট্যাগ করেন। মানহানিকর এসব পোষ্ট করার পর বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিসের আয়োজন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ২৯/১১/২০২০ ইং তারিখে এসএমপি কমিশনার বরাবের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন তিনি কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং-২৫৯৩/২০২০ ইং। তিনি আরো উল্লেখ করেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের ভাতালিয়ার ৬৬ নং বাসার বাসিন্ধা মৃত মজমিল আলীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি যাহার খতিয়ান নং ২২৫২৮ দাগ নং ২২৫০৫ এর উত্তরাধিকার মালিক ছেলে সোলেমান মিয়াসহ তার অপর ভাই বোনেরা। আজবদি উক্ত দাগের সকল ভুমি ইজমালী থাকায় এখনো নামজারি বা ভাগবাটুয়ারা হয়নি। এর আগেই সোলেমান মিয়ার মেয়ে শাহানা বেগম তার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কোন রকম অনুমোদন না নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ৩তলা বাসা নির্মাণ করেন। বাসাটি নির্মাণ করার সময় সোলেমান মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ ও তার অপর মেয়ে আনোয়ারা বেগম সিটি কর্পোরেশনে বাসা নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সিসিকের কর্মকর্তারা সরেজিমন পরিদর্শণ করে বাসা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু শাহানা বেগম সিসিকের কর্মকর্তা জনৈক লাকুর যোগসাজসে বাসা নির্মাণ করেন। সম্প্রতি অবৈধ ভাবে নির্মিত বাসাটি উচ্ছেদের জন্য হেলাল আহমদ আবারও মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে মেয়রের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম সামছু সরেজমিন পরির্দশন করে অবৈধ ভাবে নির্মিত বাসার কাগজপত্র ও সিসিকের অনুমোদনের কাগজ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এতে হেলালের উপর ক্ষিপ্ত হয় উল্লেখিত ব্যক্তিরা। প্রতিকার চেয়ে হেলাল আহমদ কমিশনারের কাছে অভিযোগ এবং থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা অভিযোক্তদের রক্ষায় নানা রকম তদবির করে যাচ্ছেন অভিযোগে উল্লেখ করেন। ভুক্তভোগী হেলাল আহমদ এই দুই নেতাসহ অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যেমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd