সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করেন না। অথচ ২২ মাসে ২২ দিন ডিউটি না করেই বেতন-ভাতা নিচ্ছেন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা বণিক। এমন বিষয়টি তদন্ত করতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর গত ৭ ডিসেম্বর ওই নার্সের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সূত্রে জানা যায়, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের উপসচিব শোভা শাহনাজ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে অধিদফতরের উপ-পরিচালক (শৃঙ্খলা) ফিরোজা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই আলোকে ২৬ ডিসেম্বর তদন্তের দিন নির্ধারণ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজা বেগম। সংশ্লিষ্টদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় কিন্তু অদৃশ্য কারণে তদন্ত করা হয় পরের দিন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা যায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকাবস্থায় ঘুষ, সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তৎকালীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা সিকদার ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে বদলি করেন। কিন্তু মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে যোগদানের ২২ মাস অতিক্রম করলেও ২২ দিনও হাসপাতালে কর্তব্যকাজে উপস্থিত হননি নার্স রেখা বণিক।
হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অভিযুক্ত রেখা বণিককে বাঁচাতে রেজিস্টার ও ডিউটি রোস্টার পরিবর্তনে সহযোগিতা করেছেন হাসপাতালের দুইজন নার্সিং সুপারভাইজার। তারা নতুন খাতা তৈরি করে হাসপাতালের এইচআইভি কর্নারে রেখা বণিক ডিউটি করছেন বলে দেখাচ্ছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজা বেগম বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকেন। সত্য উদঘাটনের জন্য আমি চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে কিছু তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। দুর্নীতি কিংবা অন্যায় করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আহমদ ফয়ছল জামান বলেন, ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কাজও শুরু করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে উনার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd