সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেনীর পরিবারের নির্মাণাধীন ঘর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমি সহ ঘর বুঝিয়ে দিতে বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তাহমিলুর রহমান।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আশ্রয়ন প্রকল্পের (২) এর আওতায় সহায় সম্বলহীন পরিবার ভূমি ও গৃহহীন ৫০০ টি পরিবার পাচ্ছেন গৃহ। এসব ঘর আশা জাগাচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলার সহায় সম্বলহীন ছিন্নমূল মানুষকে।
মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর পাবে ভূমি ও গৃহহীন মানুষেরা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শুরু হয় এ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাজ। জানুয়ারির মধ্যে জমি সহ ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এসব বাড়ি নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। অধিকাংশ ঘরের কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গন মাঠ পর্যায়ে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছেন। এসব ঘর করতে সরকারের খরচ হচ্ছে ঘর প্রতি ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। ২০ ফুট বাই ২২ ফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি কক্ষ একটি রান্নাঘর একটি সুচাগার ও সামনে খোলা বারান্দা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের দেশব্যাপী যে কর্মযজ্ঞ এ লক্ষ্যে মানুষকে ভূমি ও গৃহ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তারই অংশ হিসেবে গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫০ টি পরিবারের ঘরের নির্মাণ কাজ হচ্ছে এর মধ্যে আমরা উপকারভোগী বাছাই সম্পন্ন করেছি, আমাদের গৃহ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘরের কাজগুলো সম্পন্ন করার এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উক্ত ঘরগুলো তাদের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরের টেকসই কাজের আর মালের গুণগত মান ঠিক রাখতে আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করছি।২৫০ টি ঘরের ভূমি ও পরিবার বাছাই প্রক্রিয়া কাজ চলছে,২৮ ফেব্রয়ারীর মধ্যে এই ঘর গুলোও বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আশ্রয়হীনদের এই আনন্দ ছুয়ে যাচ্ছে, সচেতন মহল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের মাঝে।
ঘর পেয়ে স্থানীয়ভাবে জয়নাল আবেদীন, মনোয়ারা বেগম, ধীরেন চন্দ, কুটি মিয়া বলেন আমাদের জমি ছিল না, ঘর ছিল না, পরের বাড়িতে থাকতাম, আশ্রয়হীন ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমি দিয়েছেন, ঘর দিয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা মন থেকে দোয়া করি ধন্যবাদ জানাই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd