দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ ফিরোজ আহমেদ সহকারী শিক্ষক (গনিত) দীর্ঘদিন ধরে হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে চাকরি করে আসছেন। তার ইনডেক্স নাম্বার ১০৫২০৯৫। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত এন.টি.আর.সি.এ এর ওয়েবসাইটে জাল নিবন্ধন সার্টিফিকেট তদন্ত করা হচ্ছে। হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ ওয়েবসাইটে শো করলে সাকসেস দেখাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বেলায় তার নিবন্ধন সনদ ওয়েবসাইটে শো করলে নো আনসার দেখাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ফিরোজ আহমেদ শিক্ষা অধিদপ্তরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে গোপনে স্থগিত করে রেখেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাফিজ আলী এই বিষয়ে অবগত হওয়ার পরও অদৃশ্য কারণে বিষয়টি এখনোব্দি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। উপরন্তু তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জাল নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ ফিরোজ আহমেদ প্রতিবেদককে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এন.টি.আর.সি থেকে কিছুদিন আগে আমার বিষয়টি অডিট করে গেছে। এখনো অডিটের রিপোর্ট আসেনি।
এবিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাফিজ আলী জানান, জাল নিবন্ধন সনদের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে খবর পেয়েছি শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফতেফুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। দোয়ারাবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
Sharing is caring!