সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিগত নির্বাচনের তুলনায় ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার নামে সাংবাদিকতার পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের মাঝেও ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে দলের দায়িত্বরত অবস্থায় সাংবাদিকদের দেখে সরে পড়েন সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফোরকান চৌধুরী। তার গলায় দৈনিক বাংলা নামে একটি পত্রিকার কার্ড ঝুলতে দেখা গেছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি করিম উল্যাহ বি.কম, ফুলগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, কাজিরবাগ ইউনিয়ন সভাপতি কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাহবুবুল হক লিটন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ কিরণ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ, সোনাগাজী উপজেলা সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মীর এমরানসহ অনেকে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত পর্যবেক্ষণ কার্ড ব্যবহার করেন।
এদের মধ্যেই বেশিরভাগই স্থানীয় দৈনিক প্রভাত আলো পত্রিকার কার্ড দেখা গেছে। ওই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র দখলকারীদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় ছিল তারা পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে। এ কার্ড ব্যবহার করে সাংবাদিকতাকে কলুষিত করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তত ৬০-৬৫ জনের গলায় এ কার্ড ঝুলতে দেখা গেছে। তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেন্দ্র দখল করেছে। মানুষের আস্থার জায়গা সাংবাদিকতাকেও অপমান-অপদস্ত করেছে।
জানা গেছে, ভোটগ্রহণ চলাকালে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী-সাঈদী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে দৈনিক জনতার কার্ড ঝুলিয়ে ঘোরার সময় এক ব্যক্তিকে দেখে ঝাপটে ধরেন দৈনিক জনতার ফেনী প্রতিনিধি মফিজুর রহমান। তিনি জানান, একপর্যায়ে সাংবাদিকদের আক্রোশের মুখে বীমা কোম্পানির ওই কর্মচারী দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, দুইশতাধিক সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়েছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ থাকায় অনেক অসাংবাদিকও সাংবাদিক পরিচয়ে কার্ড সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি পরে জেনেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd