সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে চাউধলনী হাওরে পানি সেচ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক ছরকুম আলী দয়াল (৭৫) নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ মামলাটি রুজু করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের ভাতিজা আহমদ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় এজাহার দায়েরে করেন। আর এজাহার দেওয়ার চারদিন পর থানা পুলিশ ওই এজাহারকেই মামলা হিসেবে গণ্য করে, (মামলা নং ০৩)। মামলায় ইজারাদার পক্ষের প্রধান ও ফাউন্ডার লন্ডন প্রবাসী সাইফুল আলমকে (৪০) প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আহমদ আলীর অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে থানায় এজাহার দেওয়ার পর বার বার থানায় আসা যাওয়া করলেও রহস্যজনক কারণে প্রথমে মামলা রেকর্ড করা হবেনা বলে জানায় থানা পুলিশ। এর পর গত শনিবার তিনিসহ (আহমদ আলী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে হাওর পাড়ের ২৫ গ্রামের কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সাথে সাক্ষাৎ করে ন্যায় বিচার চান তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার কৃষক দয়াল হত্যার ঘটনায় মামলা নেয় গ্রহণ করে পুলিশ।
অন্যদিকে ঘটনারদিন পুলিশের হাতে আটক হওয়া হাওর সংলগ্ন চৈতন্য নগর গ্রামের আসাম উদ্দিন (৩০) ও টিল্লাপাড়ার হাফিজ সায়েদ আহমদ (২০) এবং গত রোববার আটক হওয়া ভাটিপাড়ার জামাল আহমদকে (৪০) গতকাল বুধবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার (শোন এরেস্ট) দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এএসএম গফুর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (২৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টারদিকে চাউলধনী হাওরে ক্ষেতে পানি-সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাওরের জলমহাল ইজারাদার পক্ষের প্রধান সাইফুল ইসলাম ও কৃষক আহমদ আলী পক্ষের মধ্যে পানি সেচ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহমদ আলীর চাচা ছরকুম আলী দয়াল (৭৫) নিহতসহ আরও ১০জন আহত হন। ঘটনার পরদিন শুক্রবার বিকেলে হাওরে নিহত দয়ালের লাশ সামনে রেখে প্রতিবাদ সভা করেন ‘চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাচাও আন্দোলন’ কমিটির নেতারা। সভায় দয়াল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা নিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। এরপর দাফন শেষে সন্ধ্যায় আন্দোলন কমিটির নেতাদের নিয়ে থানায় এজাহার দেন নিহতের ভাতিজা আহমদ আলী। এজাহার দেওয়ার ৪দিন পর অবশেষে মমালা নেয় পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ঘটনা তদন্তাধীন থাকায় মামলা নিতে একটু বিলম্ব হয়েছে। এপর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd