বিশ্বনাথে গভীর রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত : ৮ রাউন্ড গুলি

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১

বিশ্বনাথে গভীর রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত : ৮ রাউন্ড গুলি

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও উত্তেজনা থামাতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে থানা পুলিশের কনস্টেবল বদরুদ তালুকদার ও নাহিদ হাসান আহত হয়েছেন। এসময় ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলা টেপিগঞ্জ প্রতাবপুর এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলুল হক বাদী হয়ে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজ উদ্দিনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৩।
জানা যায়, উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কেশুয়া খালে মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজ উদ্দিন পক্ষের লোকজন পাম্প মেশিনের মাধ্যমে খালের পানি সেচ করতে থাকেন। এনিয়ে টেপিগঞ্জ এবং মাখরড়গাঁও-প্রতাভপুর গ্রামের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে থানার এসআই ফজলুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। তখন পুলিশ টেপিগঞ্জ গ্রামের লোকজনকে পানি সেচ বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বললেও তাতে কর্ণপাত না করে সেচকাজ চালিয়ে যেতে থাকেন টেপিগঞ্জ গ্রামের লোকজন। একপর্যায়ে পুলিশ লাটিচার্জ করে ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয়।
থানা পুলিশ জানায়, সেচকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে পানি সেচের দুটি মেশিন জব্দ করে পুলিশ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজ উদ্দিন, নুরুল ইসলাম ও সফিক মিয়াসহ গ্রামের ৩০/৩৫ জন নারী-পুরুষ ডাকাত ডাকাত চিকিৎকার করে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালান।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। হামলায় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের কনস্টেবল বদরুদ তালুকদার ও নাহিদ হাসান। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, টেপিগঞ্জ গ্রামের শফিক আলী সাংবাদিকদের জানান, খাল থেকে মেশিন দিয়ে গ্রামের লোকজন বোরো জমিতে পানি সেচ করছিলেন। হটাৎ করে বৃহস্পতিবার রাতে খালের পানি সেচ বন্ধ করে সাবেক মেম্বার আব্দুস শহীদের লোকজন পুলিশকে সাথে নিয়ে তাদের ৮টি বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তিনজনকে মারপিট করে আহত করেছে। এসময় খালে থাকা পানি সেচের তাদের ৪টি মেশিনও নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে প্রতাবপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস শহিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই খালে মাছ ধরা নিয়ে অপর একটি পক্ষের সাথে কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এবছর তাজ উদ্দিনের লোকজন মেশিন দিয়ে খালে মাছ ধরতে গেলে আমি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছি।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, পুলিশের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2021
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728  

সর্বশেষ খবর

………………………..