সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গোয়াইঘাট উপজেলা ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নে বড়নগর গ্রামে চা-শ্রমিক গঙ্গেষ সিংহ তার একটি বিরোধ সম্পত্তি রক্ষায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে একটি রিট পিডিশস নং ৪৮২০/২০ইং দায়ের করলে মাননীয় বিজ্ঞ আদালত এক বছরের জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু গঙ্গেষ সিংহের পরিবারকে ১৫/০৫/২০২১ তারিখে বিরোধী জায়গা হতে সরে যাওয়ার জন্য সহাকারী কমিশনার ভূমি গোয়াইনঘাট মৌখিক নির্দেশ প্রধান করেন। গঙ্গেষ সিংহ মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও তার পরিবারের নিরাপত্তার সিলেট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য চা শ্রমিকদের সংগঠিত করেন আমার দাদা। পাকিস্তানীরা সেই সংবাদের ভিত্তিতে আমার দাদা গণেষ সিংহ ও চা শ্রমিক শিতারাম কুর্মীকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। গণেষ শিংহ মৃত্যুকালে ৭ একর দায়গা রেখে যান। দেশ স্বাধীনের পর পিতা ব্যবসা করে আরো জায়গা ক্রয় করেন। প্রায় ১৪ একর জায়গা ছিলো বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন তিনি।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, একটি ভূমীখেকো চক্র তার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে জায়গাগুলো হাতিয়ে নেয়। এর পর থেকে আমার পিতা পাগল হয়ে মারা যান। বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে যে বসবাস করছি সেটা সরকারি খাস জায়গা টিলারকম ভূমি। বিগত কয়েক বছর আগে পরিবার সহ আমাকে উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমান সরকার সংখ্যালঘু ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি খুবই আন্তরিক থাকায় এলাকাবাসী ও ৬নং ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আবারও আমি পুরোনো ভিটায় ফিরে আসি। এখানে সেই মহান মুক্তিযোদ্ধে ২টি শহীদের শসান রয়েছে। গণেশ সিংহের নাতী গঙ্গেষ শিংহ তার দাদার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্পত্তি ফিরে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা একে. এম. নুর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জোর করে উচ্ছেদ করতে বলিনি আমি। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd