সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি :: নদী ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ, ঝুঁকিতে রয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে অামার স্বামীর একমাত্র সম্বব এই ঘরটা ভাঙ্গতে শুরু হইছে! স্বামী নাই! বাচ্চাদের নিয়ে আমি কই যাবো আপনারা সাংবাদিক আমাদের উপকার করেন ভাই।
বলছিলেন সুরমার ভাঙ্গনে শেষ সম্বল টুকু হারাতে বসা পূর্ণিমা দে। সুনামগঞ্জে ছাতক গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রাম্মণগাওঁ, চাকলপাড়া, চাঁনপুর, গৌরনগর মালিকান্দি, দীঘলবাক, নোয়াপাড়া গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতভিটাও নদী গর্ভে বিলীনের অপেক্ষায়। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু কার্যকর স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সুরমা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন ও নদীর পাড়ে ব্লক না থাকায় এ সর্বানাশের কারন। এসবের কারনে এলাকায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে। সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।
ব্রাম্মণগাওঁ গ্রামের বিজয় লাল দে বলেন, আমাদের আসপাশে প্রায় অর্ধশত পরিবার হুমকির মুখে। নিজেরাই সর্বদা আতংকে থাকি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চাই। আমরা ভালো নেই। চাকলপাড়া ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার বলেন, যদি সরকার থেকে এখনই কোন পদক্ষেপ গ্রহন না হয় তবে ভিঠে মাটি ছাড়া হবে অারো কয়েকশত পরিবার।
গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাওঁ ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান বলেন আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, মুহিবুর রহমান মানিক ভাইকেও বলেছি যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের করেন। নয়তো সরকারি রাস্তা রেললাইন পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য খুটি কারেন্টের লাইন নদী গর্ভে বিলীন হতে বেশী সময় লাগবে না।
জানাযায়, ছাতক পৌরসভার বৌলা, তাতিকোনা, চরেবন্দ, বারোকপন, কালারুকা ইউনিয়নের, মুক্তিরগাঁও, গৌরিপুর, দীঘলবন, সিকন্দরপুর, মালিপুর, রামপুর, উজির পুর, নুরুল্লাহ পুর সহ সুরমা নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
বিশেষ করে মুক্তিরগাঁও- ছাতক সড়ক দিয়ে মুক্তিরগাঁও আটগ্রামসহ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার পারকুল, টুকেরগাঁও, শিবপুর, পুটামারাসহ বিভিন্ন এলাকা এখন নদীর ভাঙ্গন দেখা দেয়।এলাকাবাসির অভিযোগ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পৌরশহরের অবৈধ ড্রেজার সিন্ডিকেট নদী থেকে বালু মাটি উত্তোলন করে বিক্রি চলে। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, স্থায়ীনদী শাসন বাস্তবায়নে কারিগরি কমিটি গঠন করে অতি দ্রুত স্থায়ী নদী শাসন প্রকল্প প্রদান করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd