সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ময়মনসিংহে সাবেক স্বামীর কাছে ফিরে যেতে দ্বিতীয় স্বামীকে হত্যা করেছেন এক নারী। হত্যাকাণ্ডে তাকে সহায়তা করেছেন সাবেক স্বামী।
দুই বছর আগে প্রথম স্বামী ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর এলাকার রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় কেওয়াটখালী এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে জাকিয়া সুলতানার।
এরপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন একই এলাকার আশিকুর রহমান আশিককে। দ্বিতীয় স্বামীর সংসারের দুই বছর না যেতেই জাকিয়ার ফের সম্পর্ক গড়ে সাবেক স্বামীর সঙ্গে। তাই তার কাছে ফিরতে ডিভোর্স চাওয়ার পর রাজি না হয় স্ত্রী ও তার সাবেক স্বামীর হাতে খুন হতে হয় আশিককে।
সন্দেহভাজন হিসেবে জাকিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পর চাঞ্চল্যকর আশিক হত্যাকাণ্ডের এমন রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা পোস্টকে ওসি ফারুক হোসেন বলেন, জাকিয়াকে ছেড়ে দিতে আশিককে নানাভাবে অনুরোধ করছিলেন রুবেল। আশিক রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আশিককে কেওয়াটখালী রেললাইনের পাশে নিয়ে যান জাকিয়া। সেখানে নির্জন স্থানে অপেক্ষায় থাকা রুবেল আশিককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে জাকিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি।
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পরদিন আশিকের বাবা কোতোয়ালি থানায় জাকিয়া ও রুবেলকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জাকিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জাকিয়ার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও রয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পর থেকে রুবেল পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তারাকান্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে কেওয়াটখালী এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ১০০ টাকা দিয়ে ছুরিটি কিনেছিলেন রুবেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রুবেল ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd