দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনে একজন ওসি আব্দুল আহাদ

প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনে একজন ওসি আব্দুল আহাদ

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট :: বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আলীম-উলামার স্মৃতি বিজড়িত প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার, পর্যটন খ্যাত পূন্যভূমি গোয়াইনঘাট উপজেলা। নানা কারণে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সিলেটের মধ্যে এই উপজেলার গুরুত্ব আলাদা। প্রাকৃতিক সম্পদ পাথর কোয়ারী, চা-বাগানসহ গোয়াইনঘাটে রয়েছে দেশ-বিদেশ খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।

এছাড়াও ভারতের সীমান্তবর্তী জনপদ সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অবস্থান ভারতের সীমানা ঘেঁষা। তাছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরসহ ভারতের সীমানা ঘেঁষে দীর্ঘদিন উভয় দেশে বসে আসছে বৈধ-অবৈধ বেশক’টি হাট। দুই দেশের সীমানায় কোথাও নেই প্রাচীর। কোথাও কোথাও কাটা তারের ভেড়া থাকলেও উভয় দেশের চোরাকারবারিরা অত্যন্ত গোপনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে মাদক দ্রব্যসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্য নিয়ে যাতায়াত করে, এতেই ঘটে বিপত্তি।

তাই গোয়াইনঘাট উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। সামগ্রিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) হিসাবে ২ আগষ্ট ২০১৯শে যোগদান করেন আব্দুল আহাদ।
টনক নড়ে অপরাধীদের, সমাজের সকল ধরনের অপরাধ আর অপরাধীদের ফাগুনের আগুন ঝরানো মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠেন ওসি আব্দুল আহাদ। বাঘের হিংস্র থাবায় নয়, প্রতিহিংসা লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে ভালোবাসা কোমলতা আর কুট কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব দায়িত্বের মধ্যে দিয়ে শুরু করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ নানা অনিয়ম অপরাধ নির্মূলের কাজ।
সেটা যে নিজেকে কিছু দিনের জন্য পাবলিসিটি পাওয়ার বা হিরো হওয়ার জন্য তাও নয়। যার প্রমাণ আজ অবধি তাঁর পুলিশের পেশাদারীত্ব কার্যক্রম চলমান ও বিদ্যমান এ ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি জনগণের প্রতি সুশীল আচরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। পুলিশ সদস্যদের দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
অসহায় হতদরিদ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষের প্রতি খোলা আকাশের নিচে প্রশস্ত হৃদয়ের এক পরশপাথর ওসি আব্দুল আহাদ।
যেখানে কোন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিচয়ে কোনও অনিয়ম, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। যে কোনও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই নেওয়া হচ্ছে কঠোর আইনি ব্যবস্থা। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওসি আব্দুল আহাদ স্বপ্রণোদিত হয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন তা এখনও চলমান আছে, ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।‘

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করার কোনও সুযোগ তাহার কাছে নেই, দলীয়ভাবে কখনও কোনও অপরাধীকে রক্ষা করার ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার বিন্দুমাত্র সুযোগ ওসি আব্দুল আহাদ দেন নাই । কারণ পুলিশের কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। গুটি কয়েক মানুষের অপরাধের জন্য গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অনন্য অর্জনগুলো ম্লান হতে দেন নাই।
থানার অধীনস্থ স্টাফদের প্রতিও তিনি অমায়িক এবং আন্তরিক। তাদেরকে তিনি তার অধীনস্থ ভাবেন না, ভাবেন একজন সহকর্মী, একজন ষ্টাফ, একজন বন্ধু। তাদের কাজে সহযোগিতা ও কাজ বন্টন করে দেওয়া এবং মামলায় জটিলতা সৃষ্টি হলে কৌশলী সুপরামর্শ দিয়ে প্রশংসিত স্টাফদের কাছেও।

আরো জানা যায়, তিনি এইভাবে ধর্ম বর্ন জাত গোত্র উচু নিচু ধনী গরীবের বিবেচনা না করে কেবল মানুষ মানুষের জন্য এমন চিন্তা চেতনায় সর্বসময় বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে ছায়া হয়ে দাড়ানোর পাশাপাশি নিজের সাধ্যর চেয়েও অধিক সহযোগিতা করে এখন ভালোবাসায় সর্বজন প্রিয় ও পরিচিত ওসি আব্দুল আহাদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, থানায় উনার কক্ষে অবস্থান নেওয়া মাত্র বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে উনি কাজে বিশ্বাসী। সামনে বসা সংবাদকর্মীদের সাথে সাবলীলভাবে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কথা বলছেন, বিভিন্ন দপ্তর, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এবং মিডিয়াকর্মীদের আশা ফোন অনায়াসে রিসিভ করে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মামলার ফাইলে সাইন করছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন সমস্যা সম্বলিত লোকজনের কথাও শুনছেন এবং স্টাফদের যার যার কাজ ভাগ করে দিয়ে তড়িৎ সমস্যা নিরসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উনার টিমওয়ার্ক আর কাজের দক্ষতায় সমস্যা নিয়ে আসা লোকজন হাসিমুখে থানা থেকে বাহির হচ্ছে। পুরোদমে চলছে আপ্যায়নেরও ব্যবস্থা, চা নাস্তা না করে বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই। বসলে আপনাকে চা খেতে হবে। এতসবের মধ্যে দিয়ে চলছে বিরামহীনভাবে সবার কাজ। চেহারার মাঝে নেই কোন অবসাদ আর ক্লান্তির চাপ।
করোনা মহামারীতে বিশ্ব যখন স্তব্ধ অসহায়, বাংলাদেশের সকল পুলিশ প্রশাসনের মত গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ওসি আব্দুল আহাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা কোনোভাবেই খাটো চোখে দেখার সুযোগ নেই। তিনি স্বাধীনতার মত, অর্জন ও রক্ষা দুটি ভূমিকাই পালন করেছেন।
করোনাকালীন সময় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় উদীয়মান শিক্ষার্থীরা অনেকে জড়িয়ে পড়েছিল চোরাকারবারিসহ অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদেরকে এই দূর্গম অনিশ্চিত পথ থেকে ফিরিয়ে এনে নতুন ভাবে যাতে এ ধরনের কার্যকলাপে কোন শিক্ষার্থী জড়াতে না পারে তার জন্য উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা-সেমিনার আনুষ্ঠানিকতায় যোগদান করে দিয়েছেন কঠিন হুশিয়ারী ও কোমল বাণী। ঘোষণা দিয়েছিলেন যার যে সমস্যা সরাসরি উনার সাথে যোগাযোগ করার। আলহামদুলিল্লাহ সামাজিক অবক্ষয়, অপরাধ প্রবনতা যেমন হ্রাস পেয়েছে তেমনি স্বাস্হ্য ঝুঁকি ও কমেছে।

উপজেলায় মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, জঙ্গি ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে,উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিরলসভাবে চালিয়ে যান গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ।

ওসি হিসেবে গোয়াইনঘাটে যোগদানের পর থেকে বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনার তথ্য উৎঘাটন, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেন।

গ্রেফতারকৃত দাগী বেশকজন অপরাধীর ঠিকানা এখন সিলেট শহরতলীর সুরমা তীরের বাধাঘাট জেলখানায়। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন জুড়ে গড়ে উঠা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে টিম ওর্য়াক। এলাকার ছোটখাটো ঘটনা সমুহ থানায় কিংবা আদালতে গড়ানোর আগেই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে বাদী বিদাীর সম্মতিতে।

পাশাপাশি ১ কেজি হিরোইনসহ ৩জন মাদক পাচারকারী গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস ভিকটিম টমটম চালক শাহিন আলম হত্যা মামলার মুল আসামীদের মধ্যে অন্যতম ২ জনকে, জাফলংয়ে চাঞ্চল্যকর ফটোগ্রাফার উজ্জল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মুল ২ ঘাতক ও তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তাকরী অপর ২ জনকে, জাফলংয়ে চাঞ্চল্যকর অপর ক্লু-লেস ডিজিস রাসেল হত্যা মামলায় জড়িত ৬ আসামীকে গ্রেফতারসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে প্রশংসিত থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ নিজেই।

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সূত্রমতে ০২ আগষ্ট ২০১৯ হতে ৩০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত তার নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট থানায় মোট ১৭০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে ০১ (এক) কেজি হিরোইন,৬৬৬ বোতল ভারতীয় মদ, ৮৮ লিটার দেশীয় চোলাইমদ, ১১ কেজি ৫৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিল, ১,৮৮৩ পিচ ইয়াবা, বিয়ার ক্যান ০৯ (নয়) বোতল রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১,১৪,৯৬,২৫০/- টাকা উদ্ধার করে মাদক আইনেই মোট ১৫৩ (একশত তিপান্নটি) টি মামলা রুজু করা হয়েছে। মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধকরণসহ চিহিৃত মাদক চোরাচালানী গ্রেফতার বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারসহ অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ সহ একাধিক এসআই, এ এসআইগণ সিলেট জেলার শ্রেষ্ট অফিসারের পুরুস্কারে ভুষিত হয়েছেন।

ওসি আব্দুল আহাদ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত সেবাকে দ্রুত জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেন অনন্য কৌশলে। পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর থেকে সিলেটের তরুণ এসপি ফরিদ উদ্দীনের দিকনির্দেশনায় অত্যান্ত সুনামের সাথে সাধারণ মানুষের কাছে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে সাড়াশি অভিযানের নির্দেশে উপজেলার মাদক ব্যবসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দমন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে শুরু হয় অপরাধীচক্রের নানা হিসাব-নিকাশ। নানাভাবে চেষ্টা করা হলো উনাকে পথে আনার জন্য, কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই কাজে এলো না। একের পর এক ধরাশায়ী হতে থাকলো স্থানীয় মাদক সরবরাহকারীদের অনেকেই। আইনী পদক্ষেপের পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেন সামাজিক জনসচেতনতা। গ্রামের নিরীহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি দায়িত্ব অবহেলা বন্ধেও কাজ করেন ওসি আব্দুল আহাদ।পুলিশের প্রতি অনেকের যে বিরূপ ধারণা ছিল তা বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালন নীতিতে কাজ করে তিনি এখন জনগণের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।ফলে শুরু হয় অপরাধীচক্রের নানা হিসাব নিকাশ।
কোন কিছুতেই পেরে উঠতে না পারায় শেষমেষ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাদা পানিকে ঘোলা করে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা কখনো সমাজের সাধারণ মানুষের ভালো চিন্তা করে নাই। সমাজকে পিছিয়ে রাখতে এবং নিজের উদরভর্তি করার ফায়দা হাসিলের চেষ্টা থাকে। যারা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্যের স্বার্থের চিন্তা করে না তাদের দ্বারাই এমন গর্হিত কাজ করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে ওসি আব্দুল আহাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি অভিভূত কিন্তু বিচলিত নই। খারাপ মানুষের কাজই হচ্ছে সমাজকে খারাপের দিকে ধাবিত করা, এরা ভালো মানুষের ও সমাজের ভালো দেখতে পারে না বলেই মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে। যখন কেউ সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে চাইবে, অবশ্যই সে নানা বাধা প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও নির্যাতনের শিকার হবে, আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিপূর্বেও আমি সমাজের অপরাধীদের কালো মুখোশ উম্মোচন করতে অনেক বাধা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, শেষমেষ সত্যেরই জয় হয়েছে। তাই বলে আমার কাজ থেমে থাকবে না, আমার কাজই হচ্ছে সমাজের অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরো বলেন, এখনো সমাজে একটি জিনিস বেঁচে আছে আর সেটা হচ্ছে মানবতা আর এই মানবতা আছে বলেই এখনো আমাদের মত পুলিশ কর্মকর্তারা নির্দ্বিধায় সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারছে। শুকুনি মামার দলেরা মীরজাফর এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও আমি না হয় পরাজিত সিরাজউদ্দৌলা। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ যারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে একসময় আমি নিজ দায়িত্বে তাদের ঘর বাঁধিয়াছি। বাপ-ছেলের কলহের জের এমন পর্যায়ে ছিল কেউ কারো ছায়া পর্যন্ত মাড়াতো না। তাদের পারিবারিক কলহের জেরেই তারা আজ জেলের ভিতরে থাকতো।

অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ বলেন সাধারণ মানুষের একটি ধারণা ছিল পুলিশের জন্য আইন নেই। পুলিশ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে কিন্তু এই অহেতুক মিথ্যা মামলায় এটাতো প্রমাণিত হলো, পুলিশও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন সবার জন্য সমান।

তিনি বলেন, কে কি? করলো বা বললো পিছনে থাকানোর সময় আমার নেই, তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করতে গেলে আমি আমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। আমার প্রত্যাশা গোয়াইনঘাট থানাকে বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে একটা উদাহরণ দেওয়ার মতো থানায় পরিণত করতে চাই।

ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, গোয়াইনঘাটবাসীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ভালোবাসার কাছে আমি পরাজিত আমি ঋৃণী আমি কৃতজ্ঞ। যে ভালবাসায় কোন খাদ নেই, নেই কোনো চাওয়া পাওয়া।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2021
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728  

সর্বশেষ খবর

………………………..