সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সিলেট সিটি করপোরেশন। চলছে রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ। উন্নয়ন কাজ নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের যতটুকু ব্যস্ততা, সে রকম খেয়াল নেই নাগরিক বিড়ম্বনা নিরসনে। ফলে মশার যন্ত্রণায় নগরবাসী অতিষ্ট হয়ে ওঠলেও সেদিকে খুব একটা নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের। ভূক্তভোগী নগরবাসীর অভিযোগ এবছর শীত মৌসুমে নগরীতে ব্যাপকভাবে মশার ঔষধ ছিটানো হয়নি। নালা নর্দমাগুলো পরিস্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মাঝে মধ্যে কোন কোন এলাকায় মশার ঔষধ ছিটানো হলেও মশা মরছে না। তবে নগরভবন কর্তৃপক্ষের দাবি করোনার ভ্যাক্সিন কার্যক্রমের ব্যস্ততার জন্য মশার ঔষধ ছিটানো কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুণরায় পুরোদমে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে একযোগে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন। মশার প্রজনন ধ্বংস করতে নগরীর ভেতরের নালা-নর্দমা ও ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করা হয়। কিন্তু এবছর মশক নিধন কার্যক্রম চলছে শম্ভুক গতিতে। এক সাথে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নগরবাসী। এছাড়া নালা-নর্দমা পরিস্কার না করায় মশার বংশবিস্তারও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
নগরবাসীর অভিযোগ সন্ধ্যা হলেই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। মশা তাড়াতে ঘরে কয়েল জ্বালাতে বা মশার ঔষধ স্প্রে করতে হচ্ছে। বিশেষ করে মশার যন্ত্রণায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনেক বাসার শিক্ষার্থীদের মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারির নিচে বিছানায় বসে পড়তেও দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে কোন কোন এলাকায় মশক নিধনে ঔষধ ছিটানো হলেও মরছে না মশা- এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে নগরবাসীর কাছ থেকে। তাদের অভিযোগ, ঔষধের সাথে বেশি পরিমাণ পানি মেশানোর কারণে মশা মরছে না। এছাড়া অনেক সময় মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষদ ছিটানোর কারণেও মশা মরছে না।
সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার শিক্ষিকা শাহিদা জামান জানান, মশার ভয়ে সন্ধ্যার আগেই তিনি বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। এরপরও মশা থেকে রেহাই মিলছে না। প্রতিবছর সিটি করপোরেশন থেকে মশার ঔষধ ছিটানো হলেও এবছর তাদের এলাকায় মশক নিধনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশন। নগরীর সচেতন লোকজন জানান, তাদের এলাকায় মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছিল। কিন্তু ঔষধ ছিটানোর পরও মশা মরেনি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার ভ্যাক্সিন কার্যক্রমে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় মশক নিধনে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়। আগামী রবিবার থেকে আবারও পুরোদমে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। এক সাথে ৪-৫টি ওয়ার্ডে মশা মারার ঔষধ ছিটানো হবে। পুরো নগরীতে ঔষধ ছিটানো শেষ হলে নগরবাসী মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd