প্রোগ্রামের ব্যাপারে বাজেট করলে ধোঁকা খাবেন: সিলেটের রুহুলের উদ্দেশ্যে মাদানী
প্রকাশিত: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী নাম নিয়ে বাজেট করছেন সিলেটে বসবাসরত নেত্রকোনার রুহুল আমিন নগরী। এমন অভিযোগে যা বললেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। তিনি রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা ফেসবুক আইডি থেকে রুহুল আমিন নগরীকে নিয়ে সিলেটেবাসীর উদ্দেশ্য একটি পোষ্ট করছেন তা পাঠকদের জন্য হুবহু তোলে ধরা হলো।
মাদানী বলেন, ”আঞ্চলিক পোস্ট- প্রিয় সিলেটবাসীর অবগতির জন্য বলছি রুহুল আমিন নগরী নামে আপনারা যাকে আমার পিএস ভাবছেন উনি আমার কোন পিএস নয়,উনি আমার নেত্রকোনা জেলার দেশি ভাই সেই সুবাদে আমি সিলেট সফরে গেলে অনেক এলাকা চিনিনা বলে উনাকে সাথে রাখি উনি ঐসব এলাকা ভাল চিনেন আর তাতেই উনার ব্যাপরে যে কথাগুলো উঠেছে উনি নাকি আমার নাম নিয়ে বাজেট করেছেন যদিও উনি বলেছেন তিনি এমন কিছু করেন নি!
উনি বাজেট করেন বা করেন না আমার কোনটাই বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই আমি এতটুকু বলব শুধু রুহুল আমীন নগরী ভাই কেন আপনি যদি আমাকে ছাড়া যে কারও সাথে আমার প্রোগ্রামের ব্যাপারে বাজেট বা কথা বলেন তাহলে ধোঁকা খাবেন!
বিঃ দ্রঃ আমি পূর্বে ২টা পোস্ট করেও ডিলিট করতে হয়েছে কেননা আমি পোস্ট করেছি জাতীয় সার্থে অথচ অনেকেই কমেন্ট করতেছে নগরী ভাই নাকি আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে পোস্ট করতে!
অথচ আমি কোন ব্যাক্তি হিংসা বা উনার কথায় পোস্ট করেছিলাম বিষয়টা এমন নয় বরং মুফতি শাহেদ জহুরী নামে এক ব্যাক্তির লাইভের পর থেকে নগরী ভাইয়ের সাথে তেমন কথাও বলি না তবুও যেহেতু অনেকেই সেটাকে ব্যাক্তিগত বিষয় ভেবেছেন তাই পোস্ট গুলো ডিলিট করেছি!”
এদিকে মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী তার ফেসবুকে একটি পোষ্ট করছেন, তাও হুবহু তোলে ধরা হলো- ‘‘বক্তা বিষয়ক ওজাহাত…
ইদানিং অনেক ভাই সময়ের আলোচিত তরুণ বক্তা হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা’র প্রোগ্রামের জন্য আমাকে সময়ে অসময়ে ফোন দিচ্ছেন। আমি সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি দয়াকরে আমার সাথে যোগাযোগ না করে উনার সাথে সরাসরি অথবা উনার মাদরাসায় গিয়ে যোগাযোগের অনুরোধ করছি। চলতি মৌসুমে কোন প্রোগ্রামের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। আগামি বৎসরের জন্য এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে গাজিপুরস্থ মাদরাসায় যোগাযোগ করতে পারেন।
আরেকটি কথা:
রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা’র সাথে আমার প্রাতিষ্ঠানিক/ ব্যবসায়ীক নয়,সম্পুর্ণ দ্বীনী সম্পর্ক। বয়সে আমার ছোট হলেও আল্লাহর জন্যই তাকে মহব্বত করি। ২০১৮ সালে জামিয়া বারিধারায় ছাত্র জমিয়তের একটি প্রোগ্রামের সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয়। নিজ জেলার প্রতিভাধর ছাত্র হিসেবে
বিগত বছর আমার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে বক্তা হিসেবে দাওয়াত করি। এবছর সিলেটের জৈন্তাপুরের আমার বন্ধু মাসুদ আজহারের বিশেষ অনুরোধ ও ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থেকে (রাহবার হিসেবে)সফর সাথী হই। এর পরে কয়েকটি প্রোগ্রামে আমাকে সাথে যেতে বলায় আমি সম্মত হই। শায়খুল ইসলাম জামিয়ায় মেহবান হই।এটা জানাজানি হওয়ার পরে আমার পরিচিত অনেকেই (মাদানি সাবের) একটি প্রোগ্রামের জন্য বার বার যোগাযোগ করেন। কয়েক জনের জন্য আলাপ করে প্রোগ্রাম দিতে পারলেও অনেকের কথা রক্ষাকরা সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক প্রিয়জনের বিরাগভাজন হই! কয়েক দিন আগে এক ভাই কয়েকবার ফোন করে প্রোগ্রাম না পেয়ে বক্তা ও আমার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। এরই আলোকে আরো কয়েক ভাই পোস্ট কপি করে, ভিন্ন পোস্ট থেকে আরো কিছু সংযুক্ত করে ফেসবুকে ভাইরাল করেন। পোস্টে ৬০ হাজার টাকার চুক্তি করেছি বলে মিথ্যাচার করা হয়। আমি এব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করলে এবং বিষয়টি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় উনারা পোস্ট ডিলেট করেন। ফলে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেও বক্তার সম্মানের দিক বিবেচনায় ডিলেট করে দেই। বিশেষ কারণে আজ আমি আবারো বলছি আমি কারো সাথে এমন কথা বলিনি,টাকার কোন চুক্তি করিনি। আমি কোন বক্তার (পি এস নই) তারিখ দেইনা, তাই দয়াকরে আমার সাথে কেউ বক্তার জন্য ফোন করে বিব্রত করবেননা।
যারা আমার ব্যাপারে অহেতুক মিথ্যাচার করে পোস্ট ডিলেট করেছেন আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি,আল্লাহপাক তাদের ব্যাপারে উত্তম ফায়সালা করুন।
পরিশেষ, প্রিয় দ্বীনী ভাই রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা’র সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহপাক সকল অনিষ্টতা থেকে আমাদের সকলকে হিফাজত করুন। আল্লাহ হাফেজ।