সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দুই বছর আগে বাড়ী থেকে পালিয়ে জুয়েলকে বিয়ে করেন রেহানা আক্তার। সম্পর্কে তারা বেয়াইন-বিয়াই। বিয়েতে দুই পরিবারের সম্মতি না থাকায় নব দম্পতি সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে চলে আসেন গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর গ্রামে। তবে প্রেমের এই বিয়ের শেষ পরিণতি হিসেবে গৃহবধু রেহানার সাত খন্ড মরদেহ জানান দিচ্ছে পাষন্ড স্বামী জুয়েলের বর্বরতা। রোববার মনিপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে হতভাগিনী রেহানা আক্তারের খন্ডিত মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেহানা সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কাচির গাতি গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। জুয়েল আহম্মেদ একই ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
আটক জুয়েল আহম্মেদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ জানায়, ওই দম্পতি মনিপুর এলাকায় জাকিরের বাড়ীতে ভাড়া থাকত। বাড়ীর পার্শ্ববর্তী আরাবী ফ্যাশন কারখানায় চাকরি করতেন রেহানা। জুয়েল আহম্মেদ বিগত দিনে চাকরি হারানোর পর কাপড় বিক্রি ব্যবসা শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংসারিক কলহের জের ধরে এক পর্যায়ে শৌচাগারের দরজা আটকে আত্মহত্যা করেন রেহানা- এমন দাবি আটক জুয়েলের। পরে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে ফেসে যাওয়ার ভয়ে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করেন জুয়েল। ওই রাতেই স্ত্রীর মরদেহ ৭টি খন্ড করে বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন জুয়েল।
জয়দেবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদা জানান, স্থানীয়দের ফোন পেয়ে প্রথমে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া বর্ণনা মতে রোববার দুপুরে মরদেহের খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd