নক্সেবন্দীর ৬ ও ৭ নম্বর স্ত্রীর খোঁজ পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১:১৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২১

নক্সেবন্দীর ৬ ও ৭ নম্বর স্ত্রীর খোঁজ পেয়েছে পুলিশ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চতুর্থ স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বিতর্কিত নকশবন্দী বক্তা হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দীকে।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর থেকে মতিঝিল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আদালতের পাঠানো হলে সিএমএম-১৮ আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, কমলাপুরের একটি মসজিদ থেকে বের হয়ে সিলেটে কথিত নকশবন্দীদের মাহফিলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় এস আই হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় নক্সেবন্দীর সঙ্গে তার পঞ্চম স্ত্রীও ছিল। পরে পুুুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রী ও রয়েছে। তিনি যে জেলায় যেতেন মাহফিিল করতে সেেখান ই বিয়ে করতেন।

বিতর্কিত এই নকশবন্দী বক্তার চতুর্থ স্ত্রী শিরিন আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার ইরফান একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মামলার বাদীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দী। বিভিন্ন সময় বাদী শিরিন আক্তার তার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিলেও প্রতিনিয়ত আরও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। শারীরিক নির্যাতনের কারণে গত বছরের জুন মাসে শিরিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন। পরে নারী নির্যাতনের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেসময় পুলিশের সহায়তায় অঙ্গীকারনামা দিয়ে নির্যাতনের সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পান হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দী। কিন্তু তারপরও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বাদীর ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার ইরফান বলেন, স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-৩ এ একটি মামলা দায়ের করেন শিরিন আক্তার। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..