সিলেটে সাংবাদিকতায় সফল নারী সুবর্ণা হামিদ

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২১

সিলেটে সাংবাদিকতায় সফল নারী সুবর্ণা হামিদ

বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট শহরে ‘সাংবাদিকতায় সফল নারী’ সুবর্ণা হামিদ কথায় আছে যে রাঁধতে জানে সে চুল বাঁধতে ও জানে। কিন্তু এই রাঁধা আর সমানতালে চুল বাঁধার বয়সটা কত দিনের। এই তো বিশ শতকের শুরুতেই বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া তাঁর ‘জাগো গো ভগিনী’ প্রবন্ধে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘স্বামীরা যখন পৃথিবী থেকে মঙ্গল বা গ্রহ নক্ষত্রের দূরত্ব মাপায় ব্যস্ত, স্ত্রী তখন বালিশের কভার মাপেন।’ এক শতকেরও কম সময়ের ব্যবধানে অবস্থার বিস্ময়কর পরিবর্তন আনতে পেরেছেন নারীরা, এ কথা সত্য। কিন্তু কতটা এগিয়েছে আমাদের নারীরা? রাঁধা আর চুল বাঁধার শতকরায় একজন নারী কতটা ভালো আছেন, তার হিসাব কখনো করেছি আমরা?

একজন নারী প্রকৃত নারী হয়ে উঠতে শুরু করেন জন্ম থেকেই, তাঁর চারপাশের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কিন্তু আধুনিক সমাজে নারীর মানুষ হয়ে ওঠার সূচনা ঘটে মূলত উচ্চশিক্ষার হাত ধরে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কি তাই। উচ্চশিক্ষিত মেয়েরাও কি মুক্ত; ভাঙতে পেরেছে পরাধীনতার শিকল?

কিন্তু এর মধ্যেও এখন ব্যতিক্রম হচ্ছে। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপরিচালনায় এখনো নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুনবতী নারীরা। আর সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে এখন পিছিয়ে নেই সিলেটের নারীরাও। অন্যসকল পেশার মত সাংবাদিকতায়ও ক্যারিয়ার গড়ছেন সিলেটের নারীরা। বর্মমানে খুব হাতে গোনা কয়েকজন নারীই সিলেটে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সুবর্ণা হামিদ।

১৯৮৪ সালের ২৬শে মার্চ নগরীর আম্বরখানা এলাকায় বাউল শিল্পী আব্দুল হামিদ ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা খানম মিলনের ঘর আলো করে আসেন সুবর্ণা হামিদ। পারিবারিক সিদ্ধান্তে মাত্র ১৬ বছর বয়সে এক প্রবাসীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু নানান জটিলতায় সেই সংসার ঠিকেনি। এর পর প্রায় হতাশার জীবনে নিমজ্জিত হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু দৃঢ় মনোবলই তাকে জীবনের ইউটার্নে নিয়ে আসে।

এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে সিআইপিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে দৈনিক শ্যামল সিলেটে যোগদানের মাধ্যমে শুরু করেন জীবনে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন যাত্রা। এর পর ২০০৭ সালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন দৈনিক সবুজ সিলেটে। জীবনের প্রথম তোলা ছবি ও রিপোর্ট লিড নিউজ হয় গণমাধ্যমটিতে। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

সুবর্ণা বর্তমানে দৈনিক সবুজ সিলেট ও চ্যানেল আই -এ কর্মরত আছেন। সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ দেড় দশকে বিভিন্ন পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ২০০৮ সালে সাংবাদিকতায় রোটারি এ্যাওয়ার্ড, ২০১১ সালে রাঁধুনী কীর্তিমতী পুরষ্কার উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন সময়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য পেয়েছেন একাধিক ফেলোশিপ। বর্তমানে সিলেট ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের পাঠাগার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..