সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পরিবেশ অধিদপ্তরের ৩য় শ্রেণির একজন কর্মচারী। বর্তমানে যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদান করে তিনি ১০ বছরে কোটিপতি হয়ে গেছেন। ইতিমধ্যেই এলাকায় বিলাসবহুল একাধিক বাড়িসহ নিজ ও আত্মীয়স্বজনের নামে কিনেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। টাকার জোরে এলাকায় বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করে লুটে নিয়েছে তাদের সম্পত্তি।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করা হয়েছে। অভিযুক্ত এই কোটিপতি কোটালীপাড়া উপজেলার চিতশী গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দিদারুল ইসলাম হাওলাদার।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার চিতশী গ্রামের দিদারুল ইসলাম হাওলাদার ২০১১ সালে বাগেরহাট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে নমুনা সংগ্রহকারী পদে চাকরি নেন।
অসচ্ছল পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি চাকরিতে যোগদানের ১০ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। উপজেলার ঘাঘর বন্দরে কিনে নিয়েছেন ৪ তলা ভবন ও তারাশী গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে আলিশান বাড়ি। খুলনার গল্লাবাড়ীতে ৩ তলা একটি বাড়ি রয়েছে তার, যা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ক্রয় করেছেন তিনি।
এ ছাড়াও তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবুল হাওলাদারের ছেলে হাফিজ হাওলাদার দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী হাফিজ হাওলাদার, নান্নু হাওলাদারসহ এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, দিদারুল ইসলামের অত্যাচারে আমরা দিশাহারা। তিনি টাকার জোরে আমাদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে, কৌশলে কেড়ে নিয়েছে অনেক গরিব পরিবারের জায়গা জমি।এ ঘটনায় আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে দিদারুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd