সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের সব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে শবেবরাত উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, আমার নেতৃত্বে আর কোন আন্দোলনে আপনাদেরকে আমি ডাকবো না। অতিসত্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমার এ পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেব এবং অফিশিয়ালি পদত্যাগপত্র জমা দেব।
গত রোববার হেফাজতের আহ্বানে পালিত হরতাল কর্মসূচিতে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ানোয় সংগঠনের কয়েকজন নেতার কাছে হেনস্তার বিষয়টি পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের আলোচিত এ খতিব।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, হরতালের দিন আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা এ মসজিদ থেকে বের হতে নিষেধ করেছিল। আমি শত চেষ্টা করেও এখান থেকে বের হতে পারিনি এবং আন্দোলনে যোগ দিতে পারিনি। সেজন্য হেফাজতের কিছু কর্মী ও দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে আমাকে অপ্রীতিকর মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত ব্যারিকেড ডিঙিয়ে বের হওয়ার কোন পথ আমার কাছে ছিল না।
তিনি বলেন, আমি যদি তখন বের হতাম তাহলে এই মসজিদের সামনে লাশ পড়ে যেত। মসজিদের এই দেওয়ালগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যেত। কেননা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই মুহূর্তে আমার কি করার ছিল?
হরতালের পর থেকে হেফাজতের কয়েকজন নেতা তাকে এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ করেন মাওলানা আবদুল আউয়াল।
তিনি বলেন, গতকাল আসরের পর ডিআইটি মসজিদে হেফাজতের দোয়া কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আমি হরতালের দিন বের হতে না পারার কারণে, এ দোয়া কর্মসূচিতে কিছু অতি উৎসাহী লোক অংশগ্রহণ করেননি। তারা গিয়ে দেওভোগ মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করেছে। এসবের ফলে তারা তো একপ্রকার আমাকে অযোগ্য বলেই প্রমাণ করেছে। অথচ আমি যদি সেদিন বের হতাম তাহলে আল্লাহর ঘর এবং কত নিরীহ মানুষের প্রাণ হুমকির মুখোমুখি হতো তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। সুতরাং আমি আর হেফাজত ইসলামের কোনো নেতৃত্বে থাকছি না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd