সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২১
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফ’র ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে বাংলাদেশী যুবক নিখোঁজ।
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের বাংলাদেশী সাঁতার না জানা যুবক ভারতীয় বিএসএফ’র ধাওয়া খেয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ যুবক উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আর্দশগ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৮)।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান প্রতিবেদকে জানান, ৬ জুলাই আদর্শগ্রামের শফিক মিয়ার একটি হালের গরু হারিয়ে যায়। ৭ জুলাই বুধবার গরু সন্ধান করতে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করে বাংলাদেশী যুবক সোহেল। ভারতের প্রবেশের সময় সোহেলকে দেখে ফেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভারতীয় সুপারী জুমে গরু খোঁজে না পেয়ে সোহেল বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে ভারতের রংহংকং বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করে। সোহেল নিজেকে রক্ষা করতে এলো মেলো দৌড়াতে থাকে এক পর্যায় ভারত সীমান্তের রংহংকং এলাকার একটি গর্তের পানিতে ঝাঁপদেয়।কিন্তু সাঁতার না জানা সোহেল গর্তে ঝাপ দিলেও ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তার উপর পাথর নিক্ষেপ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে ইউপি চেয়ারম্যান জানতে পারেন বলে জানান।
বিএসএফ’র ধাওয়ায় পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার কাছে পৌছে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্প ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনা স্থলের বাংলাদেশ অংশ ঘুরে দেখেছেন। কোভিট-১৯ এর কারনে সীমান্তে নিষেদাজ্ঞা থাকার কারনে বিএসএফ সদস্যদের সাথে বিজিবি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমদ জানান, পুলিশের টিম ঘটনাস্থলের আশ পাশ এলাকায় সংবাদ নিয়ে যুবক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান জানান, এলাকা দূর্গম ও ভারতের অভ্যান্তরে হওয়ার কারনে এছাড়া গর্তের গভীরতা বেশি থাকায় নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর ক্যাম্পের ভিআইপি সদস্য মিজান মোবাইল ফোনে জানান, বিএসএফ ধাওয়া খেয়ে যুবক নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছি। ফেরত এসেছে কিংবা আসেনি বিষয় জানা নেই। সীমান্তে কড়া নিষেদাজ্ঞা থাকায় আমরা মিট পতাকা বৈঠক করা সম্ভব হচ্ছে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd