সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
ক্রাইম ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধে’ মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মাদকবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে র্যাব কর্তৃক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের ফলে আইনের শাসন, মানবাধিকার, বিভিন্ন মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ক্ষুণ্ন করার মাধ্যমে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকিতে পড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮-এর অধীনে বিদেশি সংস্থা হিসেবে র্যাব-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। একই নির্বাহী আদেশের অধীনে নিষেধাজ্ঞায় বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাব-এর সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। তিনি এখন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক। বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব-৭-এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ-এর ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অন্য কর্মকর্তারা হলেন, র্যাব-এর বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাব-এর ডিজি’র দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর আহমেদ। একই বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে র্যাব-এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
২০১৭ সালে মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮ জারি করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আদেশের অধীনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনীতি হুমকিতে পড়লে বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির সম্পদ, সম্পত্তি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি এবং ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এর মধ্যে চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd