সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা :: সিলেটে নগরী থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করানোর ঘটনায় গোলাপগঞ্জের জামায়াত নেতা আতিকুর রহমানসহ ৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে ৩৬৫/৩৮৬/৩৭৯/৫০৬ (১১)/ ৩৪ দন্ডবিধি ধারায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪জনকে আসামী করে মামলাটি করেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী উত্তর এলাকা ও বর্তমানে সিলেট নগরীর উপশহর সোনারপাড়া এলাকায় বাসিন্দা মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে সেলিম হাসান কাওছার (৩২)। মামলা নম্বর ৩৭২। ওই জামায়াত নেতা গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউপির বসন্তপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান ফুলু মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান।
অন্যান্য আসামীরা হচ্ছেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউপির বসন্তপুর গ্রামের ও নগরীর সোনারপাড়া নবারুন ৪৩৬ বাসার বাসিন্দা প্রবাসী তাজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), তাজ উদ্দিনের ছেলে পারভেজ আহমদ (২২) , মৃত তবারক আলী হখার ছেলে সাহাব উদ্দিন সাহাব উদ্দিন উরফে সাবাজ (৪২), শরিফগঞ্জ ইউপির পানিআগা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে নাহিদুর রহমান (৩০), ভাদেশ্বর এলাকার জলিল আহমদ (৫০), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের থানার ভরকান্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আহমদ তমাল। আদালত ওই যুবকের দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই, সিলেটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্ভর নগরীর সোবহানীঘাট এলাকা থেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে এবিসি পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে পৌছা মাত্র নাহিদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ওই যুবককে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চলতি বছরের ২৩ জুলাই সিলেট সাইবার ট্রাব্যুনাল আদালতে ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন । যাহার মামলা নং-৯৯। এর আগে সেলিম হাসান গোলাপগঞ্জ জি.আর ১৭০/২০২০ইং একটি মামলা করেন।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়ী থেকে বাসায় ফেরার পথে ওই মামলার প্রধান আসামী জামায়াত নেতার নির্দেশে দলবদ্ধ বিবাদীগণ সোনারপাড়া উপশহর-শাহজালাল আদর্শ বিদ্যালয়ের সামন থেকে পুলিশ পরিচয়ে ওই জামায়াত নেতার আস্তানা নগরীর আম্বরখানাস্থ শহীদ ভিও নামীয় বিল্ডিংয়ের ৩য় তলা বিল্ডিং এর একটি অন্ধকার রুমে বাদীকে তালাবদ্ধ করে প্রায় ৩/৪ ঘন্টা রাখে। পরে অন্ধকার ঘর থেকে বাহির করিয়া অন্যে একটি রুমে নিয়া ১,৩,৪,৫ ও ৬ নং আসামী আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাণে মারার হুমকি দেয় এবং আমার দায়ের করার মামলা গোলাপগঞ্জ জি.আর ১৭০/২০২০ইং মামলা তুলে না নিলে তোকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো বলে হুমকি দেয়। এসময় তারা বাদীকে কয়েকটি সাদা কাগজ ও ১০০/- টাকা দামের ৬টি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর নেয় এবং সাথে থাকা ব্যবসার ৩৫১০০টাকা ২নং আসামীর কাছে পাওনা টাকার ১৫০টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মূল কপি,মোবাইলের মেমোরী কার্ড নিয়া যায়। তাছাড়া বাদীর মোবাইলে রেকর্ডকৃত ডকুমেন্ট অডিও ভিডিও ২নং আসামীর কাছে পাওনা টাকার সকল ডকুমেন্ট ১, ৩ ও ৬ নং আসামী ডিলেইট করে ফেলে। স্বাক্ষর নেওয়ার সময় ৩নং আসামী তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। প্রায় ৪ ঘন্টা পর ৫ ও ৬ নং আসামী আমাকে একটি প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে চৌহাট্টা পন্টে ছেড়ে দিয়ে যায়। উল্লেখ্য ২ নং আসামীর ছেলে ৩নং আসামী ও ৫নং আসামীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ জি.আর ১৭০/২০২০ইং মামলা করি। আমার দায়ের করার মামলার ৬ মাস পর আমার মামলার প্রধান আসামীকে ভিকটিম বানিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন ২নং আসামী রহিমা বেগম। যাহার নং-২১১/২০২০ ইং ।
মামলার বাদী সেলিম হাসান বলেন, আমি রহিমা বেগমের ছেলে পারভেজ ও তার বাগনা ইমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। এর সূত্র ধরে জামায়াত নেতা আতিক রহিমা বেগমের পক্ষ নিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি রহিমা বেগমকে দিয়ে আমাকে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান। ঘটনার দিন আতিক নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যান্য আসামীদের দিয়ে অপহরণ করে জোর পূর্বক স্ট্যাম্প ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd