স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়া গুম, পিতাকে ফিরে পেতে সন্তানদের আকুতি

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৯

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়া গুম, পিতাকে ফিরে পেতে সন্তানদের আকুতি

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের পর তাকে গুম করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। হান্নান মিয়াকে সুস্থ্য অবস্তায় ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে আকুতি করছেন তার চার অবুঝ শিশু।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হান্নান মিয়ার পরিবারের উপর একের এক মিথ্যা সাজানো মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। অমানবিক নির্যাতন শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের এমপি ইমরান আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রাহীম আলী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দুলাল আহমদ দুলালসহ সকলই আওয়ামীলীগের লোক।

ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়া গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাতিরখাল গ্রামের মোশারফ আলীর ছেলে।

স্থানীয় মাতুরতল বাজারের ছিলো হান্নান মিয়ার একটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্টান। সেখান থেকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন জোর করে ভিবিন্ন পণ্য ও ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া, রাতে যাওয়া আসার পথে ভিবিন্ন ভাবে টর্চার করা, নির্বাচনের সময়ে হওয়া ভিবিন্ন মামলায় আসামি করে হান্নান মিয়া ও তার ছোট ভাই মিয়া কালা এবং বাবা এবং ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতন করে। সব মিলিয়ে পাগলের মত অবস্থা হয়েছিল তাদের পরিবারের।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পরের দিন পুলিশের কাজে বাধা ও নির্বাচনে প্রতি বন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলা করে পুলিশ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি হান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তার বাবা এবং ভাইকে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ। দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাদের হাসপাতালের ভর্তি করে। পরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাদা কাপড়ের একদল সস্ত্রাসী তার ছোট ভাই মিয়া কালাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ৫ জানুয়ারি এরপর তিন চারজন মলে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। আহত অবস্থায় এক পরিচিত আত্মীয়র সাহায্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরেন তিনি। এই পরিবারের উপর এমন নির্যাতনে মিয়া কালার মা পাগল প্রায়। এরপর মার্চের মাঝা-মাঝি মিয়া কালা তার বাবা এবং ভাইয়ের জামিন করান। সর্বশেষ পুলিশের নির্যাতনে অসুস্থ অবস্থায় আমার বাবা ২৭ মার্চ মারা যান মিয়া কালার পিতা।

পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়াকে গুম করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। পরে তার ছোট ভাই মিয়া কালা এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজের দেশের মায়া ত্যাগ করে এবং কাউকে কিছু না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

কিন্তু এতকিছুর পরও থেমে নেই আওয়ামীলীগের লোকজন। তারা মিয়া কালাকে খোজে না পেয়ে তাদের দোকান দখল করে নেন। এবং তাদের বাড়িতে হামলা চালান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..