সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রেশমা আক্তার সেতুর কথা মনে আছে আপনাদের। ঐ যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। হ্যাঁ, ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়েটির কথাই বলছি। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার চিকিৎসার জন্য আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই রেশমার কথা বলছি। আমাদের রেশমার জীবন থেকে অমানিশার আঁধার কাটতে শুরু করেছে। আল্লাহ্র অশেষ রহমতে রেশমা ভারতে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছে। এখন সে আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। রেশমার হাসিমাখা মুখটাই যেন আমাদের নার্সিং সমাজের ঐক্যের প্রতীক। সুস্থ হয়ে ফেরা রেশমার হাসিতেই প্রশান্তি খুঁজি আমরা। আমাদের বোন ক্যান্সার জয় করে সুস্থ জীবনে ফিরবে এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আর কি হতে পারে।
দেশে ফিরে রেশমা গতকাল শনিবার একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছে। স্ট্যাটাসে সে তার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছে। জানিয়েছে সে এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে আমার প্রতি। তার অসুস্থতার সময় আমাদের সহযোগিতার কথা সে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছে। আশাবাদ প্রকাশ করেছে, আমি যেন তার মতো হাজারো মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
রেশমার এই প্রত্যাশা আমার জীবনেরও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। মানুষের সেবা করেই কাটাতে চাই জীবন। কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই। যতোদিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখবে ততোদিন দেশের নার্সিং সমাজের জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করে যাবে।
দু:খজনক হলেও সত্য, আমরা বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পর অতীত ভুলে যাই। উপকারির উপকার স্বীকার তো দূরের কথা, সুযোগ পেলে তার ক্ষতির চিন্তা করি। এই ক্ষেত্রে রেশমা ব্যতিক্রমী। তার বিপদের সময় সহকর্মীদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতার কথা ভুলেনি। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তাদেরকে স্মরণ করেছে। রেশমার এই কৃতজ্ঞবোধকে শ্রদ্ধা জানাই। আল্লাহ যেন আমাদের প্রিয় বোনটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা দান করেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দদের। তারাও কৃতজ্ঞতাপত্র পাঠিয়ে আমাকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন-বিএনএ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার পক্ষ থেকে রেশমা আক্তার সেতুর চিকিৎসার জন্য যে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছিল তা সম্ভব হয়েছিল আমাদের হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তাদের ঐক্যের কারণে। আমরা এক ছাতার নিচে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই সম্ভব হয়েছিল মানবিক এই কাজে অংশ নেয়ার। এজন্য আমি বিএনএ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামীমা নাসরিনসহ সকল সহকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
রেশমা আক্তার সেতুর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গাানাইজেশন (এসডব্লিউও), ঢাকা নার্সিং কলেজের সাবেক সভাপতি ইমরানুল হক হিমেল, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. রুমান হোসাইনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরও।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd