সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আলোচিত রাজনীতিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি সিলেট সফরে এসেছেন। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির সঙ্গে একই ফ্লাইটে তিনি সিলেট এসেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় বিমানযোগে তিনি ডা. মুরাদ ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সিলেটে আসার পর থেকে তিনি একরকম চুপচাপ আছেন বলে জানা গেছে। তিনি শাহাজালাল রাহ. এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে সিলেট এসেছেন। সিলেটে ডা. মুরাদ সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন।
ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশের একজন আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিবিদ এবং সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রী সভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) এর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯ মে ২০১৯ তারিখ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। আর ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
এর আগে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হন। গত বছর ৬ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। দাবি করা হয়- এই কথোপকথনটি ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ফোনালাপে থাকা চিত্রনায়ক ইমন পরে সেটি স্বীকার করেন। ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি তখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হয়। পরে দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
১০ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন দৌলতপুর গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুরাদ হাসান। পিতার নাম অ্যাড. মতিয়র রহমান তালুকদার, মাতা মনোয়ারা বেগম।
জামালপুর শহরস্থ কিশলয় আদর্শ বিদ্যা নিকেতনে তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু। ১৯৯০ সালে তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৪-২০০৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ‘Plastic & Reconstructive Surgery’র উপর Post Graduation Training (PGT) সম্পন্ন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হতে ২০১১ সালে Radiation Oncology’র উপর এম. ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনকোলজি বিভাগে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আজীবন সদস্য।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd