বিশ্বনাথ থানার এসআই অলক দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২২

বিশ্বনাথ থানার এসআই অলক দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই অলক দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত বাণিজ্য ও ঘুষ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ ন্যায়-বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বুধবার (৯ মার্চ) সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিলকৃত এক আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্বনাথ থানার টেংরা চানপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল খালিক লিখিত আকারে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গত বছরের (২০২১ সালের) ৩ মে আব্দুল খালিকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায় একদল সন্ত্রাসী। হামলায় আব্দুল খালিকের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা গুরুতর আহত হন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আব্দুল খালিক বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা {নং-৬(৫)২১} করেন। মামলাটি তদন্তের প্রথম দায়িত্ব পান থানার এসআই নূর হোসেন।

পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার এসআই অলক দাসকে। তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে এসআই অলক দাস বেশ কয়েকবার বাদী আব্দুল খালিকের বাড়ি গিয়ে তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দিলে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট এমনটি বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় পাল্টা প্রসিকিউশন দাখিল করে তাকে জেলে ঢুিকয়ে দেবেন বলে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।

আব্দুল খালিক জানান, আমি গরীব মানুষ, তাই এসআই অলক দাসের চাহিত ঘুষের এত টাকা দিতে পারিনি। ফলে তদন্ত কর্মকর্তা তার মামলাটির বারোটা বাজিয়ে তিনজন আসামিকে বাদ দিয়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নামমাত্র একখানা চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে দেওয়া চারশিটে এসআই অলক দাস মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৩, ৬ ও ৭ নং গুরুতর আসামীকে ঘটনার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন। ফলে বাদী আব্দুল খালিক ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে আব্দুল খালিক বিশ্বনাথ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অলক দাসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডেক্স শাখা অভিযোগে প্রাপপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2022
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..