সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন নামি-দামি বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নোংরা পরিবেশে পর্যটন স্পটের পাশেই প্রসাধনী তৈরি ও বাজারজাত করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর এসব ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটন স্পটে আগত পর্যটকরা ও সাধারণ মানুষ। বেশি দামে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরাও।বেশ চড়া দামে বিভিন্ন ধরনের নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী বিক্রি হয়। নকল হওয়ায় অনেক সময় দরকষাকষি করে সাধারণ দোকানগুলোতে নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে বেশ কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে জনপ্রিয় পণ্য বিশেষ করে পেনটেইন, হেড অ্যান্ড শোল্ডার, সানসিল্ক, গার্নিয়ার শ্যাম্পু, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, বিভিন্ন ব্যান্ডের স্কিন ক্রিম, নেভিয়ার ক্রিম,হ্যাভক, ফগ, এক্স, পন্ডস, ভ্যাসলিন, বডি স্প্রে, নামি ব্র্যান্ডের বডি লোশন উল্লেখযোগ্য।এছাড়া দৈনন্দিন আরও অনেক প্রসাধনী নকল করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাফলং টুরিস্ট পুলিশ ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে জাফলং এলাকা থেকে ভেজাল কসমেটিকস পন্য ও ভেজাল সামগ্রী তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যাল সহ মূল হোতা জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক জাহাঙ্গীর মধ্যে জাফলং ইউনিয়নের আলম নগরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজ্জু করে জেল হাজতে প্ররন করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে ভাসমান দোকান মালিকরা তাদের দোকান লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
স্হানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাফলং পর্যটন স্পটের ভাসমান দোকানগুলোতে নকল গ্রসাধনী ও ভেজাল পণ্য সামগ্রীতে সয়লাম থাকে। টুরিস্ট পুলিশের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। জানা যায় আটক জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ বিশ বছর থেকে এসব নকল প্রসাধনী তৈরীর কারখানা করে ভাসমান দোকান মালিকদের কাছে পাইকারি সেইল করে অসৎ উপায়ে ফায়দা লুটছে।
এছাড়াও প্রধান পর্যটন স্পট জাফলং ভারতীয় যৌনউত্তেজক পূণ্যতে সয়লাব। পর্যটন এলাকার জিরো পয়েন্টে প্রতিদিন দেদারছে বসছে যৌনউত্তেজক সামগ্রীর বাজার।ভারত থেকে চোরাই পথে আনা যৌসামগ্রী বিভিন্ন ধরনের তৈলজ ও মলম জাতীয় যৌনসামগ্রী ছাড়াও বিক্রি হয় সেক্সগ্রাম টেবলেট। এসব সামগ্রী দিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে কামুক শ্রেণীর পর্যটকদের আকর্ষন করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতারনার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আয় করে নেয় কাড়ি কাড়ি টাকা এবং নকল ও ভেজাল পণ্যের সরবরাহ বাজারে দিন দিন বাড়ছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ ইউনিটের ওসি রতন শেখ জানান,ভেজাল পণ্যের গুদামে অভিযান চালিয়ে এক ট্রাক আমদানি নিষিদ্ধ এবং ভেজাল কসমেটিক্স পণ্য জব্দ করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের যৌথ অভিযানে জাফলং পর্যটন স্পটে ভেজাল কসমেটিক্স মাল প্রস্তুতকারী এবং খুচরা দোকানে সরবরাহকারী ও আমদানি নিষিদ্ধ দেশী-বিদেশী কসমেটিকস তৈরীর মূল হোতা জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজ্জুর মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন থেকে জাহাঙ্গীর আলম এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছিল। পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্সের অভিযানে তিন থেকে চারবার তাকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। এসময় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd