সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৮
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কামালবাজারের আলমদিনা সুপার মার্কেটের স্বত্তাধিকারী মোঃ হারুন মিয়া ও তার পুত্র মোঃ জুনেদ আহমদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ১২ জুলাই বিশ্বনাথ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে। তারা বিশ্বনাথ থানার লালটেক গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মোঃ হারুন মিয়াকে আটক করেছে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ। তিনি জানান, মোঃ হারুন মিয়া ও তার ছেলে মোঃ জুনেদ আহমদের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা রয়েছে। হারুন মিয়াকে আটক করলেও জুনেদ আহমদ এখনও পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার লালটেক গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেম্বার গ্রুপ ও আংগুর গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়ে থাকে। আংগুর গ্রুপের লোক ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্টান কামালাবাজরের আলমদিনা সুপার মার্কেটে ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে মেম্বার গ্রুপের লোকজন। হারুন মিয়ার ছেলে মোঃ জুনেদ আহমদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত ২৫ মে রাত ৮টার দিকে মোঃ জুনেদ আহমদ ও তার চাচাতো ভাই আনুয়ার হোসেন বাড়ি ফেরার পথে মেম্বার গ্রুপের সিদ্দেক আলী ও তার তিন ছেলে ইয়াকুব আলী, ইউসুফ মিয়া ও আহবাব মিয়া তাদের উপর হামলা চালায়। লোহার রডের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আনুয়ার হোসেন এবং আহত হন মোঃ জুনেদ আহমদ। এ ঘটনায় দুদিন পর নিহতের ভাই আলাউদ্দিন ও মোঃ জুনেদ আহমদ বাদী হয়ে সিদ্দেক আলী ও তার ৩ পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য মেম্বার গ্রুপের লোকজন মোঃ জুনেদ আহমদ ও আলাউদ্দিনকে বিভিন্ন ধরনের চাপ দিতে থাকে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি সহ নানারকম অত্যাচার ও বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মেম্বারের প্ররোচনায় মোঃ হারুন মিয়া ও তার ছেলেকে রাজনৈতিক মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মোঃ হারুন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ হোছনা বেগম অভিযোগ করেন, মেম্বার গ্রুপের সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়ায় তার স্বামী ও সন্তানকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আনুয়ার হোসেনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় তার সন্তান জুনেদ আহমদ বাদী হওয়ায় সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অথচ প্রভাশালী ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীরা তার কোন পরোয়া না করেই উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামী সন্তানদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। আজ আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। স্বামী কারাগারে, অন্যদিকে পুলিশের অভিযান ও সন্ত্রাসীদের হামলা মামলার ভয়ে সন্তানেরা ঘরছাড়া। তার স্বামী সন্তানদের রক্ষা করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd