সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
আজিজুর রহমান :: চিকিৎসা সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে বেচে নিয়েছেন সিলেট ও এমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন(শিশু বিভাগ) ডা. আফছার উদ্দিন। তিনি শুধু চিকিৎসা পেশা হিসাবে নয় তার পাশাপাশি হাসপাতালটিকেও আপন করে নিয়েছেন। পরিষ্কার ,পরিচ্ছন্ন,নিয়মিত সেবা প্রধান, হতদরিদ্র লোকদের চিকিৎসার ব্যায়ভারও বহন করে থাকেন। বেতনের হিংস ভাগই খরচ করেন মানব সেবায়। বিগত ৫ বছরে একদিনের জন্য ছুটি কাটাননি মানবসেবার ব্রত ডাঃ আফছার উদ্দিন। সিলেট এতিমখানায় শিশুদের সুন্নত কাজ বিনামূল্যে করে থাকেন। এমনকি হাসপাতালের বহি:বিভাগ কমপ্লেক্মে দক্ষিন দিকে পতিত জায়গা মলমুত্র ও আর্বজনার স্তপে পরিনত হয়েছিল। ডা. আফছার উদ্দিন তার নিজ উদ্যেগে পতিত জায়গাটি পরিষ্কার করে শরিষার চাষ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।যেটা বর্তমান সময়ে যেন স্রোতের বিপরীতে অবস্থান। চিকিৎসা পেশাটি যে মহান ,শুরু থেকে তিনি প্রমাণ করতে চান হাসপাতালের উন্নয়নমূলক কাজ, হতদরিদ্র আর সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে। সিলেট বিভাগের অন্যতম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডা. আফছার উদ্দিন ১৯৮৯ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৯৩ সালের একাদশ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে প্রথমে যোগদান করেন ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তখন থেকেই নিবেদিত প্রাণ একজন চিকিৎসক হিসেবে মানব সেবায় নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে শুরু করেন। পরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা,বাদেশ্বর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র,ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মেও দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে আবাসিক চিকিৎসক হিসাবে সুনামের সহিত চিকিৎসা প্রধান করেছেন। ২০০৩-২০০৫ সাল পযন্ত ওসমানী মেডিকেল কলেজের লেকচারার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬-১০ সাল পযর্ন্ত সিলেট এম এজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে ২৩নং ওয়ার্ডে সহকারী রেজিষ্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৩ নং ওয়ার্ডে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যায় শিশু বিভাগের চিত্র। অতি অল্প সময়ে তার একান্ত প্রচেষ্টায় বিভাগটি হাসপাতালের মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। পরে ২০১৭ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজে আবাসিক সার্জন হিসাবে যোগদান করেন। বর্তমানে ২৩ নং ওয়ার্ডের পাশাপাশি নিয়মিত শিশু বহি:বিভাগে রোগী দেখে আসছেন। ডা.আফছার উদ্দিন বলেন, মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছি। একটু ভালো কাজ করতে না পারলে এ জন্মের সার্থকতা কিসে। তাই গরীব হতদরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আমি এক ধরনের শান্তি অনুভব করি। জীবনে ভালো কাজ করলে ফলটাও ভালো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার এখানে এমন রোগীও আসে যারা কখনও ভাবতেও পারেনা যে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবে। আমি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তার চিকিৎসা করছি। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকেব ধন্য মনে করছি। সারাজীবন আমি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা করে যেতে চাই। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেড়িয়ার ডাঃ এ কে মাহবুবুর রহমান জানান, ডাঃ আফছার উদ্দিন কাজের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্যান্য কাজগুলো নিজের কর্তব্যে মনে করে সহযোগীতা করে থাকেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd