টাস্কফোর্স সূত্র জানায়, বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে অভিযান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে পুলিশ, বিজিবি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম থেকে সকল বোমা মেশিন ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে আল্টিমেটাম দেয় উপজেলা প্রশাসন। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এ আল্টিমেটাম দেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বাছির, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আপ্তাব আলী কালা মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডাক্তার মোঃ আব্দুন নুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম থেকে বোমা মেশিন সরিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। তবে, মেশিন বসানোর স্থাপনাগুলো থেকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সেগুলো অপসারণে অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ জানান, বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম থেকে স্থাপনাসহ বোমা মেশিনগুলো সরিয়ে নিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। আল্টিমেটাম পেয়ে সংশ্লিষ্টরা মেশিনগুলো সরিয়ে নিলেও স্থাপনা সমূহ থেকে যায়। এ অবস্থায় রাতের আঁধারে যেন সেখানে ফের বোমা মেশিন না বসে সেজন্য টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এসময় প্রায় এক হাজার ফুট পাইপ জব্দ করে ধ্বংস করা হয় বলে জানান তিনি।