সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট নগরে এক নারীকে নিয়ে দুই পুরুষের টানাটানির ঘটনার এক দিন না পেরোতেই একই এলাকায় ৩ নারীর চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রির (ওএমএস) লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাদের নিবৃত্ত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে নগরের লামাবাজার ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকার মাঝামাঝি আয়েশা মেডিকেয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে চুলোচুলির ঘটনায় জড়িত তিন নারীর পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় কেউই থানায় কিংবা কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মির্জাজাঙ্গাল এলাকার বিজয় স্টোরে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছিল। এসব সামগ্রী কিনতে সকাল ৯টা থেকে ওই দোকানের সামনে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে ওএমএসের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই নারীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সাড়ে ১২টার দিকে দুজনই ওএমএসের চাল ও আটা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা দুজন হেঁটে লামাবাজার ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকার মাঝামাঝি আয়েশা মেডিকেয়ারের সামনের সড়কে ফের বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সেটা হাতাহাতি ও চুলোচুলিতে রূপ নেয়। এ সময় এক নারীর পক্ষ নিয়ে আরও একজন চুলোচুলিতে যোগ দেন। তাদের টানাটানিতে ওই দুই নারীর চাল ও আটা সড়কে পড়ে যায়। পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করেন।
মির্জাজাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী রতন মল্লিক বলেন, ওই নারীরা নগরের খুলিয়াটুলা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। ওএমএসের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। এর জের ধরে ফেরার পথে তারা চুলোচুলিতে জড়ান। পথচারীরা তাদের নিবৃত্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
ওএমএসের ডিলার বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, সকালে দুই নারীর মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। তিনি নিজে বিষয়টি সমাধান করে দেন। পরে শুনেছেন, চাল ও আটা নিয়ে যাওয়ার পর পথে ফের তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
এর আগে গতকাল বিকেলে একই এলাকায় এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই ব্যক্তির মধ্যে টানাটানি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাদের পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd