সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগে রীতিমত প্রার্থী জট দেখা দিয়েছে। মেয়র পদে নৌকা পেতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৯ জন আওয়ামী লীগের ও একজন ব্যবসায়ী নেতা রয়েছেন। শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
তবে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নের দৌড়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত দল থেকে কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। শনিবার এ ব্যাপারে চুড়ান্ত ঘোষণা আসবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কেনা ১০ জন হচ্ছেন- দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুগ্মসম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, যুগ্মসম্পাদক এটিএমএ হাসান জেবুল, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী এবং ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম।
আওয়ামী লীগে প্রার্থী জট দেখা দিলেও নির্বাচন ইস্যুতে এখন পর্যন্ত চুপ বিএনপি। বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিএনপি নেতা ও সিসিকের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে বৃহস্পতিবার হোয়াটস অ্যাপে আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেশে এসে নির্বাচন ব্যাপারে আমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে নৌকা পেলে নির্বাচনে জয় পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হবে বলে মনে করছেন নেতারা। একারণে এবার দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীও বেশি।
গত নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তার প্রয়ানে দলটিতে প্রার্থী সঙ্কট দেখা দেয়। একারণে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমি যুক্তরাজ্য থেকে এসে সিলেটে জনসংযোগ চালাচ্ছি। দলের সর্বোচ্চ ফোরাম থেকে আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। আশা করছি, শনিবার আমাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আরিফুল হকের প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরিফুল হক প্রার্থী হতে পারেন সেটি ধরেই নিয়ে আমি কার্যক্রম চালাচ্ছি। বাকীটা তার এবং তার দলের বিষয়।
মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও। তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কাজ করছি। বোমা হামলারও শিকার হয়েছি। তবু আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হইনি। মাঠ ছেড়ে যাইনি। আশা করছি, দল আমার এই দীর্ঘ ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, আমি গত সিসিক নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। সেবার বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আশা করছি, দল এবার আমাকে মূল্যায়ন করবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২১ জানুয়ারি সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd