সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার, কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও যথাযথ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হচ্ছে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত টেনিসকোর্ট।
উদ্বোধনের ছয়মাস না পেরোতেই মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ফাটলসহ চারপাশের সুরক্ষা নেট ভেঙে গেছে। যথাযথ পরিচর্যার অভাবসহ নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করার কারণে টেনিস কোর্টটির এমন বেহাল দশা হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
জানা যায়, টেনিস কোর্টটি নির্মাণে ৫১ লাখ টাকা ধরা হলেও এটি নির্মাণে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৮৭২ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুরক্ষা নেটের চারপাশে আগাছা জমে রয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল রয়েছে। এছাড়া উঁচু নিচু ভাবে তৈরির ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের প্লাস্টিকের নেট ব্যবহার করার কারণে কোর্টটির চারপাশে সুরক্ষা নেট ভেঙে গেছে। ফলে বহিরাগতরা কোর্টের ভেতরে ঢুকে টিকটক ভিডিও তৈরি করছেন। এছাড়া আগাছা জমে নষ্ট হচ্ছে এ সুরক্ষা নেট। মাঝেমধ্যে আগাছার মূল কাটা হলেও তা নেট থেকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হয় না। ফলে কোর্টটি একদিকে যেমন তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে তেমনি দিনের পর দিন আগাছা জমে থাকায় নেটের মানও কমছে।
খেলতে আসা একাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা বলেন, সুরক্ষা নেটে টেনিস বল এসে লাগলেই তা ভেঙে যায় এবং বল বারবার বাইরে চলে যায়। এজন্য আমরা নিজেদের অর্থায়নে নেটের ওপর পর্দা লাগিয়েছি।
এ কোর্টটি নির্মাণের মান নিয়ে স্বয়ং উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদও উদ্বোধনের সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। গত বছরের ২৫ অক্টোবর টেনিস কোর্টটি উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেছিলেন, আমরা যে মানের কোর্ট চেয়েছিলাম সেই মানের কোর্ট পাইনি। যেটা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। যে ধরনের ভুল ত্রুটি এখানে হয়ে গেছে এটা যাতে সংশোধন করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। এতে বাড়তি খরচ আমাদের লাগবে।
উপাচার্যের এই বক্তেব্যের পর দীর্ঘ ছয় মাস চলে গেলেও কোর্টটি ঠিক করতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। ফলে কোর্টটি দিন দিন খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন খেলোয়াড়রা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এখানে টেন্ডার অনুযায়ী প্লাস্টিকের নেট ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে মানহীন বা অন্যকোনো নেট ব্যবহার করার সুযোগ নেই। যেহেতু এগুলো প্লাস্টিক, তাই এগুলো নষ্ট হবেই। এগুলো নিয়মিত পরিচর্যার বিষয়। যেগুলো নষ্ট হয়েছে আমরা তা মেরামত করবো।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd