সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট: বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ডের মধ্যেও সিলেটজুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সব সময়ই বিদ্যুৎ যাচ্ছে। দিনে-রাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিংয় হচ্ছে সিলেট। এ অবস্থায় ফুঁসে উঠেছে সিলেটের মানুষ। গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নগরীতে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ।
নগরবাসী বলছেন, তীব্র গরমে এমনিতেই দিশেহারা মানুষ এর মধ্যে দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে আসতে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ডের মধ্যেও সিলেটজুড়ে লোডশেডিং বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
বিপাকে আছেন ব্যবসায়ীরাও। ঈদের মৌসুমে এমন ঘন ঘন লোডশেডিং ব্যবসার ক্ষতি করছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডশেডিং বন্ধের মাধ্যমে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে ফোন দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি। ফোনে তিনি চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে লোডশেডিং বন্ধে সহযোগিতা চান।
জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি ও কয়েকটি কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সারাদেশে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পুরোদমে উৎপাদনে নেওয়ার কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে চলমান বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হলেও এই গরমে চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েকগুন। সিলেট বিভাগে এখন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬২০ মেগাওয়াট। তবে আমরা পাচ্ছি ৫১৫ মেগাওয়াট। সিলেটে এখন ১০৫ মেগাওয়াটের মত ঘাটতি রয়েছে। তাই লোডশেডিং হচ্ছে।
আব্দুল কাদির বলেন, আগামীকাল (১৯ এপ্রিল) থেকে অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। এমনটা হলে সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd