কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতার পক্ষে সন্তান কমান্ডের বিক্ষোভ !

প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতার পক্ষে সন্তান কমান্ডের বিক্ষোভ !

ক্রাইম সিলেট প্রতিবেদক :: একাধিক হত্যা ও চাঁদাবাজীর মামলার প্রধান আসামী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতে জড়িত। এবার আলোচনায় আসলেন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করার কারনে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ও কার্যালয় ভাঙচুরের অপরাধে এবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা এফআইআর হয়েছে। ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন বাদী হয়ে কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়াকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এফআইআর দাখিল করেছেন। মামলা নং ১১। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হচ্ছেন, উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর আলম ও তার ভাই সাদেক মিয়া এবং দক্ষিণ ঢালারপাড় গ্রামের হোসেন মিয়ার পুত্র রুপ মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঢালারপাড় গ্রামে পাশে অবস্থিত ২১৭.৭০ একর সরকারী বালুরকম ভূমি ধলাই দক্ষিণ বালু মহাল হিসেবে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেয় সরকার। ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে বিপাকে পরেছে ইজারাপক্ষ। ইজারারকৃত বালু মহালের ভেতরে বালু কম থাকায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হরে পারছেনা। তবে ইজারার বাইরে প্রচুর পরিমান বালু থাকায় ইজারাপক্ষের লোকজন সেই বালুর দিকে নজর পড়েন। যদিও সেগুলো রেকর্ডিয় সম্পত্তির আওতায় পরে। বিপত্তি বাধে জমির মালিক ও ঢালারপাড় সহ আশেপাশের পাঁচটি গ্রামের বসতিদের নিয়ে। ধলাই দক্ষিণ নদীর পাড় ঘেষাঁ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ,মাদরাসা ও কবরস্থানের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার কারনে ঝুকিতে রয়েছে এসব স্থাপনা। ফলে এসব স্থাপনা রক্ষায় গ্রামবাসী অবৈধ স্থান থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। স্থানীয়দের ঘন ঘন তোপের মুখে ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলনে ব্যার্থ হলে মীমাংসার জন্য মহাল ইজারা অংশিদার কাজী আলফু মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে এক বৈঠকে বসেন। সে বৈঠকে কাজী আলফু মিয়া সহ,উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলম ও তার ভাই সাদেক মিয়া, রুপ মিয়া, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন ও তার ভাই রোপা মিয়া সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দুই পক্ষই তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে আলফু মিয়া,আলমগীর আলম,সাদেক মিয়া ও রুপ মিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর এবং অবমাননা করেন।

এদিকে উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর আলম ও কাজী আলফু মিয়ার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে উপজেলা পরিষদ মাঠে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশনেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন রেনু মিয়া, উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলম, বিএনপি নেতা মাসুক মিয়া, সন্তান কমান্ড নেতা আনোয়ার হোসেন, ফারুক মিয়া, কবির মিয়া, চান মিয়াসহ বিক্ষোভে উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

২ নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন প্রতিবেদককে জানান, আলমগীর আলম উস্কানিতে কাজী আলফু মিয়া সহ অন্যরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা ও ভাঙচুর করেছে। তারা প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করলেও আসামীদের গ্রেফতার করছেনা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

আসামীদের গ্রেফতার না করার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম ( অপারেশন ও ক্রাইম) প্রতিবেদককে বলেন, ওসি সাহেবকে বলব জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..