বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ‘জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা, মাদ্রাসার শূরা কমিটি, শায়খ আশরাফ আলী ও তাঁর পরিবারবর্গ’কে নিয়ে সম্প্রতি পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের প্রদান করা বক্তব্য ‘মানহানিকর-বিভ্রান্তিমূলক দাবী করে ও এর জবাব প্রসঙ্গ নিয়ে’ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে শিব্বির আহমদ বলেন, বিশ্বনাথের ‘জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা’ দেশের একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে।
এছাড়া মাদ্রাসায় ‘কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, আধুনিক আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগ’ চালু আছে। কিন্ত সম্প্রতি মাদ্রাসার সামনে (পশ্চিম পার্শ্বে) উত্তর-দক্ষিণে অবস্থিত মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সংস্কারকৃত ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন সড়ক ও জনপদ বিভাগের এ জায়গাটির উপর অপরিকল্পিত একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিশ্বনাথ পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দুই দফা বাদানুবাদ শেষে সিলেট জেলা সওজ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে গত ১১জুন বিষয়টির আপোষ নিষ্পত্তি হয়।
উভয় পক্ষকে পরস্পরের প্রতি নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও বিশ^নাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিভিন্ন সভা মঞ্চে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করে মাদ্রাসা, মাদ্রাসার শূরু (পরিচালনা) কমিটি ও আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী বিশ^নাথী (রহ.) ও তাঁর পরিবারবর্গকে নিয়ে নানা কটুক্তি ও সম্মানহানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এর পূর্বেও তিনি এরূপ কটাক্ষ করে বহু বক্তব্য দিয়েছেন। যা তার লাইভ পেইজ ও গণমাধ্যমে রয়েছে।
বিশ্বনাথ পৌর মেয়র তার একাধিক বক্তব্যে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, সূরা কমিটিকে নিয়ে মানহানি মূলক নানা রকম কটুক্তি ও অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাই বিশ্বনাথবাসীর ঐতিহ্যের স্বারক ওই মাদ্রাসার সুনাম সু-খ্যাতি যাতে ক্ষুণœ না হয় এবং তার বক্তব্য শুনে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে অবহিত করছি যে পৌর মেয়রের এসব বক্তব্য ‘অসাড়, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’।
Sharing is caring!