সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদরে মারধর, নার্সদের হেনস্তা ও ভাংচুর করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সোমবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদরে মারধর ও ভাংচুর করে রোগীর স্বজনরা। এমন ঘটনার পরপরই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।
এদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- আবদুল মালিক (৫৪), সাবেল আহমদ, জুবেল আহমদ ও জুয়েল আহমদ।
এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন ওই রোগীর স্বজনেরা। স্বজনদের অভিযোগ- সুচিকিৎসা না পেয়ে ওই রোগী মারা গেছেন।
হামলাকারীরা অনেক ওষুধও বিনষ্ট করার পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদে হুমকি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে- সোমবার বিকেলে হাসপাতালের ৩৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগী মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে রোগীর স্বজনদের কথাকাটাকাটি হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। এসময় চিকিৎসকরা দৌড়ে পাশের ওয়ার্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এরপর রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিকিৎসকের কক্ষে ও নার্সের কক্ষে ভাংচুর চালান।
হাসপাতালে দায়িত্বর ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. মোস্কাকিম বলেন, এ ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। রোগীর স্বজনরা মৃত্যু মেনে নিতে পারে না। তারা ডাক্তারদের উপর হামলা ও হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বৈঠক করে অনির্দিষ্টাকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টান চিকিৎসক পরিষদ।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, মারা যাওয়া রোগীর স্বজনরা দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শন, হুমকী প্রদান এবং শারিরীক হেনস্তা করার চেষ্টা করে। এরপর হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। এ ঘটনা প্রমাণ করে হাসপাতালে চিকিৎসকদের কোন সুস্থ কর্মপরিবেশ নেই। এ অবস্থায় হাসপাতালের ইন্টান ডাক্তারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, দোষীদের বিচারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হলো।
হেনস্তা ও ভাংচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক ভূঞা বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ইন্টার্ন চিকিৎকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd