সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩
গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ শ্বাশুড়িকে আটক করেছে, স্বামী ও দেবর পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ দিঘির পার গ্রামে। নিহতের নাম রিপা বেগম (২৩), সে পার্শ্ববর্তী আব্দুল মহল গ্রামের দিনমজুর আনিসুলের মেয়ে এবং পুকাশ দিঘির পার গ্রামের সোহেল আহমদ’র স্ত্রী।
সরজমিন পরিদর্শন ও থানায় লিখিত অভিযোগ এবং স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে ৩ বছর পুর্বে সোহেলের সাথে রিপা বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।তাদের ২বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে এবং রিপা বেগম ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকে রিপার উপর স্বামী ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ইস্যুতে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করে আসছে। এসব ঘটনায় একাধিক বার সালিশ বিচার হয়েছে এবং গোয়াইনঘাট থানায় রিপা ও রিপার বাবা বাদী হয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাযের করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং সালিশগন এসব ঘটনা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময়ও একটি সালিশ বৈঠক ছিল। সালিশগন বৈঠকে বসা মাত্র রিপার শাশুড়ী এসে বৈঠকে বলেছেন রিপা আত্মহত্যা করেছে। এসময় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে খাটের উপর থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে এবং শ্বাশুড়ি তেরাবানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে রিপার লাশ তার বাবা বাড়ি আব্দুল মহল গ্রামে নিয়ে আসেন বাদ মাগরিব আব্দুল মহল ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে রিপার স্বামী সোহেল ও দেবর ফয়সল পলাতক রয়েছেন।
জানতে চাইলে নিহত রিপার বাবা আনিছুল জানান ঘটনার ২ ঘন্টা পুর্বে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলেছে বাবা তাড়াতাড়ি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও, ওরা (স্বামীর পরিবার) আমাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে, তিনি আরও বলেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তিনি প্রসাশনের কাছে সটিক তদন্ত করে আসামিদের আটক ও সুষ্ট বিচারের দাবি জানান।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার ওসি তদন্ত মেহদি হাসান জানান আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাাশ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে প্রেরন করি এবং শ্বাশুড়িকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd