পাল্টে গেছে গোয়াইনঘাট থানার সেবার চিত্র!

প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

পাল্টে গেছে গোয়াইনঘাট থানার সেবার চিত্র!

মোঃ রায়হান হোসেন: সিলেট জেলা পুলিশের অধীনস্থ গোয়াইনঘাট থানার নবাগত ওসি হিসেবে আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে সেবার মান এবং সেই সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক খুশি সাধারণ মানুষও। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করছেন। জিডি কিংবা অভিযোগ নিতে কাহারো কাছে আর ধর্ণা দিতে হয় না। কোন ধরনের তদবির ছাড়াই নির্বিঘ্নে সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ অপরাধ দমনে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। সর্বপরি গোয়াইনঘাট থানা এলাকায় যাবতীয় সামাজিক অপরাধ দমনে কঠোর হস্তে দমন করছেন আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল।

 

জানা গেছে, আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের পরে থানা থেকে দালাল সিন্ডিকেট মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। চোরাচালান কিংবা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতি দিনই চলছে তার দিকনির্দেশনায় সাড়াশি অভিযান। গোয়াইনঘাটের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় গোয়াইনঘাটে কমেছে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের উৎপাত। মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানীরা সুযোগ না পাওয়ায় আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল এর বিরুদ্ধে নানানরকম অপ্রপ্রচারেও লিপ্ত রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল এর দিকনির্দেশনায় গত দুইমাসে ৫শ’ ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এছাড়াও গত ১৫ জুন থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত অভিযানে ৩১৩ বস্তা ভারতীয় চিনি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন রংয়ের ও সাইজের ৩৪টি গরু, যার মূল্য ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এমনকি চলতি মাসে পুলিশের অনুরূপ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে।

 

মনরতল গ্রামের আব্দুল আহাদ নামের এক যুবক জানান, বর্তমান ওসি সাহেব থানায় যোগদানের পর মিথ্যা মামলা অনেক্ষাংশে কমেছে। আগে থানায় দালালে ভরপুর ছিল। দালাল ছাড়া কোন মামলা কিংবা জিডিও রের্কড করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে নিজের অভিযোগ নিজেই দাখিল করা যায় এবং তাতে কোন ধরনের টাকা পয়সাও লাগে না।

 

গোয়াইনঘাট থানায় ওসি হিসেবে বিগত ২৪ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যূতাসহ সকল অপরাধ কমে এসেছে। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ এখন নেই বললেই চলে।

 

আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে থানার সচেতন ও সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন। যে কোন মানুষ থানায় গেলে ওসি’র ব্যবহারে সন্তোষ্ট হয়ে ফিরছেন। হাসি মুখে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন তিনি। সত্য ঘটনা ছাড়া কোন ধরনের মিথ্যা অভিযোগও থানায় গ্রহন করছে না তিনি।

 

এব্যাপারে আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত ওসি কে.এম.নজরুল জানান, আমি জণগনের টাকায় বেতন ভাতা পাচ্ছি। কোন দালাল কিংবা চোরাকারবারীর টাকায় বেতন ভাতা নিচ্ছি না। সিলেট জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা মেনেই থানার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি ও সাধারণ মানুষ দুঃখ পেয়েই থানায় আসেন এবং ন্যায় বিচার পেতে যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ পেশাদায়িত্বের সাথে কাজ করছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2023
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..