হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক মো. জাহিদুল হক এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন চুনারুঘাট উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে নিহতের স্বামী মো. রাসেল মিয়া (২৫), নিহতের ভাসুর মো. কাউছার মিয়া (৩২), শাশুড়ি তাহেরা বেগম (৫০), ননদ হোছনা বেগম (২০) ও জা রোজি বেগম (২৭)। তাদের মধ্যে কাউছার মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী।
নিহতের বাবা মামলার বাদি আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘যৌতুকের জন্য মারপিট করে জামাই, শাশুড়ি, ননদ, ভাসুর মিলে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে সাত মাসের গর্ভবতী ছিল। আমি রায়ে সন্তুষ্ট। তবে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।’
মামলার সূত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে তাহেরা খাতুন আয়েশাকে (২০) একই উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ উল্লেখিত পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ১২ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উল্লেখিত রায় দেন।
Sharing is caring!