বড়লেখায় সন্ত্রাসী হামলায় এলডিপি নেতা আহত

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২১

বড়লেখায় সন্ত্রাসী হামলায় এলডিপি নেতা আহত

বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সন্ত্রাসী হামলায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচার সম্পাদক মো. এনামুল হক মারাত্মক আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এনামুল বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের পাকশাইল গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে।
শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরের দিকে এলডিপি বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন শাখার এক জরুরী সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বড়লেখা- তালিমপুর সড়কে তার উপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কুহিনুরের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
মারাত্মক আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠিয়েছেন।
হামলার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, এনামুল এলডিপি বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যাপক রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। দলটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে। এতে স্থানীয় আওয়ামী ক্যাডার হিসাবে পরিচিত কুহিনুরসহ অন্যান্যরা প্রতিহিংসার বসে বারবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সাজনা বেগম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।
এ প্রসঙ্গে জানতে রোববার ( ২৮ মার্চ) বিকেলে এনামুলের মোবাইলে কল দিলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট তাকে রাজনৈতিকভাবে নিস্ক্রিয় না হলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন, কুহিনুর, শিপলু ও আনহার। তিনি তাদের হুমকি ধমকি না মেনে নিজের দলের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর বড়লেখা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তার উপর হামলা করেছিল কুহিনুর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তিনি আহত হয়েছিলেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছিলো। তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সন্ত্রাসীরাই বাজারে পেয়ে আমার স্ত্রী সাজনা বেগমকেও হত্যার হুমকি দেয়।
শনিবারের হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, দলীয় সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কুহিনুরের নেতৃত্বে মালেক শওকতসহ আরও কয়েকজন আমার উপর লাঠি, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা মৃত ভেবে ফেলে যায়। জ্ঞান ফেরার পর শুনেছি, কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারি আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
তিনি জানান, থানা পুলিশ এদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়না। তবে তিনি সুস্থ্য হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মি ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য কুহিনুরের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আর বড়লেখা থানা পুলিশ হামলার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)।
তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..