সিলেটে বিপিএল’র টিকিট কালোবাজারে, গ্যালারি ফাঁকা!

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪

সিলেটে বিপিএল’র টিকিট কালোবাজারে, গ্যালারি ফাঁকা!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জমকালো আসর বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ)। তবে দেশ-বিদেশের তারকাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই আসরে প্রতিবারই ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবারও ব্যতিক্রম কোথায়! বিপিএলের সিলেটপর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার থেকে। মধ্যখানে একদিন বিরতি দিয়ে ছয়দিনে এখানে ম্যাচ হবে ১২টি।

এ পর্বের টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে। ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ২৫০০ টাকার টিকিট রয়েছে দর্শকদের জন্য। তবে ২০০ ও ৪০০ টাকার টিকিটেরই চাহিদা বেশি। বিক্রি শুরুর পর নির্ধারিত কাউন্টারে ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের ঢল। কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যেই বলে দেওয়া হয়, টিকিট শেষ! যারা টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে ছিলেন, তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান।

টিকিটের জন্য হাহাকার দেখা গেলেও এবং কাউন্টার থেকে টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও আজ দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার পর স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফাঁকাই দেখা যাচ্ছে। হাজার পাঁচেকের মতো দর্শক আছেন গ্যালারিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বাকি গ্যালারি ফাঁকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিপিএল সিলেট পর্বের টিকিটের একটি বড় অংশই চলে গেছে কালোবাজারিদের হাতে। বিক্রির সাথে জড়িতদের কেউ কেউ টিকিটের একটি বড় অংশ কালোবাজারিদের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। কালোবাজারিরা টিকিট ‘স্টক’ করে বেশি দামে বিক্রি করছে।
আজ দুপুরে স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক দর্শককে টিকিটের খোঁজ করতে দেখা যায়। তাদের অনেকেই কালোবাজারিদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা খরচ করে টিকিট সংগ্রহ করছেন।

বিশ্বনাথ থেকে খেলা দেখতে আসা সাগর রায় বলেন, ‘গত বুধবার টিকিট কিনতে কাউন্টারের লাইনে ছিলাম। তবে আধা ঘন্টার মধ্যে কাউন্টার থেকে টিকিট শেষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তারপরও আজ আশা নিয়ে এসেছি। এখন দেখি কালোবাজারিদের কাছে টিকিটের অভাব নেই! ২০০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা দিয়ে কিনে মাঠে ঢুকছি।’

নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন খবির মিয়া। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন, ‘শুনলাম টিকিট বিক্রি শেষ। আজকে এসেছি যদি টিকিট পাই, এই আশায়। না পেলে চা বাগানে ঘুরে চলে যাব, এটাই মনস্থির করেছিলাম। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে দেখি কালোবাজারিরা টিকিট নিয়ে ঘুরছে। তাদের কাছ থেকে ৪০০ টাকার টিকেট সাড়ে ৫০০ করে আমাদের চারজনের জন্য কিনেছি।’

স্টেডিয়ামের বাইরে যারা টিকিট বিক্রি করছিলেন, তাদের তিনজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। তবে তাদের কেউই নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। একজন বলেন, ‘আমরা টিকিট খই ফাইছি, ইতা বুঝিলিতা (আমরা টিকিট কোথায় পেয়েছি, এটা বুঝে নেন)!’

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..