সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ১৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, (মামলা নং-০২/৪৯, তারিখ ০২,০৩,২৪ইং)। মামলাটি দায়ের করেন ২নং মনুমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন। এ ঘটনায় ময়না মিয়ার পুত্র আব্দুল আমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার পলাতক আসামিরা হচ্ছে, পশ্চিম সাধু হাটি গ্রামের মৃত কনর মিয়ার পুত্র আব্দুল হক সেফুল, মৃত আরজু মিয়ার পুত্র মামুন মিয়া উরফে ওয়াহিদ, আব্দুর রহমানের পুত্র মামুনুর রশিদ, আব্দুল করিমের পুত্র ইউসুফ মিয়া, আকিল বক্সের পুত্র আব্দুল আলিম বক্স, আব্দুর রহিমের পুত্র জুনেদ মিয়া, ওয়াসিল মিয়ার পুত্র জমসেদ মিয়া, মুজিবুর রহমান, আব্দুল জলিলের পুত্র সুলতান আহমদ, কৌছর মিয়ার পুত্র সামসুল হক, নুরুল হকের পুত্র উজ্জল আহমদ, কদর মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন, লাল মিয়ার পুত্র মোস্তফা মিয়া, সায়েস্তা মিয়ার পুত্র আব্দুর রব, ওয়ারিস মিয়ার পুত্র কামরুল ইসলাম কমরু, ওয়াসিল মিয়ার পুত্র মসুদ মিয়া, শ্রীধরপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র শাহ ইমরান সাজুসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮জন।
চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা এলাকার খারাপ, সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে ২নং আসামি মামুন মিয়া তার ফেসবুক লাইভে এসে চেয়ারম্যান ও তার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আসামি মামুনের হুমকিতে নিরাপত্তা চেয়ে চেয়ারম্যান এমদাদ মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, (ডায়েরী নং-১১৩৮)। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১মার্চ সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে সরকার বাজার যাত্রী ছাউনীর সামনে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তার লোকজনের উপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে মুজিবুর রহমান, মাছুদ আহমদ, সিতার মিয়া, আব্দুল মালিক, ইব্রাহিম মিয়াকে গুরুত্বর জখম করে তাদের সাথে থাকা টাকা-পয়সা ও স্বর্ণসহ প্রায় ২লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুত্বর মুজিবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভতি করা হয়। বাকি আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এমদাদ হোসেন বাদি হয়ে ১৮জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭/৮জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই জুনেদ জানান, ঘটনার পর আব্দুল আমিন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক থাকার গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd