ডিভাইস

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৪

ডিভাইস

অমিতা বর্দ্ধন :: আমরা অনেকটাই ডিজিটাল হয়ে পড়েছি। সন্তানদের মনিটরিং করছি না। আমরা বলছি পৃথিবী এগিয়ে চলছে আসলেই কি এগিয়ে চলছে? প্রযুক্তিকে আমরা সঠিক ভাবে ব্যবহার করছি না। সস্থা মনোরঞ্জন নিয়ে (ইউটিউব) ব্যস্থ আছি দিব্বি। ডিভাইস আমাদের হাসি কেড়ে নিয়েছে, সমাজ অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। বেড়েছে ডিভোর্স, ঘন্টায় ৪টি করে ডিভোর্স হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বেকারত্ব বিস্তার লাভ করেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে দেশের বিরাট যুবশক্তি এ দেশের মেধা দেশে না দিয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে। এক সময় দেশ যুবশক্তি হারিয়ে যাবে। এটা একটি স্বাধীন দেশের জন্য চরম লজ্জাকর।

অন লাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা সার্বজনীন গ্রহণ যোগ্য নহে। অথচ একটি দেশের উল্লেখযোগ্য সেক্টর হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। যে জাতি শিক্ষায় যত উন্নত সে দেশ ও জাতি ততটাই উন্নত। আর আমরা এতো অবহেলিত। নতুন নতুন নামে মাদক আসছে। সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। মাদক নেশা আমাদের প্রজন্মকে গ্রাস করে জুয়ার নেশায় ও ঢেউ আসছে।

আজ বাবা-মায়েদের মুখে হাসি নেই। যে মা-বাবা নিজেদের সন্তানকে সাম্লাতে পারছে না, কেউ কেউ হিমশিম খাচ্ছে তারা সমাজ কন্ট্রোল করবেন কিভাবে!! তরুণ প্রজন্ম বিধস্ত হচ্ছে।

অনলাইন জুয়া প্রতিরোধ দেশ চাই। দরকার সামাজিক আন্দোলনের সাথে অভিভাবকদের গভীর সচেতনতা। ছয় বছর আগেও শিশুদের আনন্দ-বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ ছিল শাহবাগের শিশুপার্ক। যে কোন সরকারী ছুটির দিনে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো শিশু এই পার্কে যেত। বিভিন্ন রকম খেলা করেছে। এখন ও সে সেই স্মৃতি রোমন্তন করে বেড়ায় সেখানে গিয়ে। কিন্তু সংস্কার বা আধুনিকরনের নামে পাঁচ বছর ধরে পার্ক টি বন্ধ! এতে বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশু-কিশোররা! সংস্কার জটিলতায় পার্ক টি আগামী তিন বছরে ও খোলার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গিয়ে এটি বন্ধ করা হয়।

আমি ছেলের ছোট বেলায় ঢাকা গেলেই এই পার্কে তাকে অনেকবার নিয়ে যেতাম সে খুব এঞ্জয় করতো, সাথে আমরাও। ঢাকা শহরে ছেলেদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত খোলা-মেলা জায়গার অভাবে। ফলে শিশুরা ভিভাইস নিয়ে তাদের বিনোদনের স্থান দখল করে আছে।

আজকের শিশুরা যদি আগামী দিনের কর্নধার হবে তাহলে শিশুদের মনোজগতকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। আশা করি বিজ্ঞজনদের সঠিক বোধোদয় হবে।

লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক, সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..