সিলেট ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৪
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: কোম্পানীগঞ্জ ও ছাতক উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা বাইরং নদী থেকে ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে নদীর তীর ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের রশিদ আহমদ, এনাম খান ও জুয়েল আহমদ জানান, কোনো ইজারা ছাড়াই গত ২২ মে থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা ও ছাতকের রাজেন্দ্রপুর মৌজাস্থিত বাইরং নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্টিল বডি নৌকায় বালু তোলা হচ্ছে। এই বালু কোম্পানীগঞ্জের আমবাড়ি, ইছাকলস এবং ছাতকের বিভিন্ন স্পটে স্তূপ করে রাখা হয়। প্রভাবশালীদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়া, হোছন মিয়া, মোহাম্মদ আলী, ময়না মিয়া, খোরশিদ মিয়া এবং ছাতকের গণেশপুর গ্রামের বুলবুল হাজী ও বাগবাড়ির রাসেল চৌধুরীসহ ৪০-৫০ জন নিয়ে এই সিন্ডিকেট। নির্বিঘ্নে বালু লুট করতে দুই উপজেলার ইউএনও এবং ওসিদের মেইনটেইন করা হয় বলে জানান তারা।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক স্টিল বডি নৌকায় ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে। এতে পাড় ভেঙে জমি নদীতে বিলীন হতে দেখা গেছে। স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বালু সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এতে একদিকে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে নদীতে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। তবে উত্তোলনকারীদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে নিয়ম মেনেই বালু তুলছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়া দাবি করেন, তিনি জেলা প্রশাসন থেকে পিয়াইন নদী বালু মহাল লিজ নিয়েছেন। নিয়ম মেনে লিজকৃত জায়গা থেকেই তারা বালু তুলছেন। বাইরং নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, কোনোভাবেই ইজারা ছাড়াই বালু তোলা যাবে না। এরকম হয়ে থাকলে সরেজমিন গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd